বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতা-বসত ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারে হাত লেগে প্রাণ হারিয়েছে খাদিজা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি ইটভাটার সামনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হালিমা খাতুন নামে আরেক স্কুল শিক্ষার্থী। তবে হালিমার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা
নিহত খাদিজা আলমডাঙ্গা উপজেলার ১ নম্বর ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার রাজমিস্ত্রি আজির উদ্দিনের মেয়ে ও হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আহত হালিমা একই এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে এবং একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে দুই বান্ধবী এলাকার একটি ইটভাটার মাটির স্তূপের উপর উঠে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিল। এ সময় অসাবধানতা বসত ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারে হাত লাগলে স্পৃষ্ট হয়ে দুই বান্ধবী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আহত হালিমা শঙ্কামুক্ত হলেও খাদিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজার মৃত্যু হয়। তবে হালিমার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এ ঘটনায় রীতিমতো শোকের মাতম বইছে খাদিজা খাতুনের পরিবারে। তার এ অকলা মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না কেউ। অন্যদিকে খাদিজাকে এক নজর দেখতে দুরদুরান্তে ছুটে এসেছেন আত্মীয়স্বজনেরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ১৩ বছর।