কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিচারক অসুস্থ থাকায় জামিন চেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আদালতে জামিন আবেদন করলে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
শুনানিতে আবুল কালাম বিচারককে বলেন, স্যার, সারা জীবন আমি কোন অন্যায় করিনি, আর কখনো করবোও না। তখন সারা পৃথিবীতে করোনার যে অবস্থা, সেই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে সক্ষমতা না থাকায় মানুষের জীবন বাঁচাতে সচিব মহোদয়ের নির্দেশে এটা করতে হয়েছিল। ওই চুক্তি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মন্ত্রী ও সচিব মহদোয়ের সামনে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। সাহেদ যে একজন প্রতারক, সেটা আমার জানা ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের মাধ্যমে ৫০টি করোনা টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষায় রিজেন্ট হাসপাতাল টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ জানতে পেরে আমি সাথে সাথে বলি এই দুইটি শাখা বন্ধ হয়ে যাবে।
এসময় বিচারক বলেন, সাহেদের সাথে আপনার এতো মহব্বত কিভাবে হয়েছিলো? উত্তরে তিনি বিচারককে জানান, স্বাক্ষর হওয়ার দিন সাহেদের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। আরও বড় বড় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই থেকে সাহেদের সাথে আমার পরিচয়। আমি আগে থেকে জানতাম না সাহেদ একজন প্রতারক ছিলেন। স্যার, আমার ডায়াবেটিস রয়েছে। আমরা জীবন তুচ্ছ করে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি কোন অপরাধ করিনি, আর ভবিষ্যতেও করবো না।
এর আগে করোনার রিপোর্ট পরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত বছর গ্রেপ্তার হন ঢাকা রাজধাণীর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্দ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ আরো অনেকেই। যাদের এই মুহুর্তে কারাগারেই দিন কাটছে।