বর্তমান চলমান পরিস্থিতির কারনে চলমান বছরের জন্য শুধুমাত্র এসএসসি এবং সমমান এবং এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়নি, পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালের পরীক্ষা যে সময় সাধারনত অনুষ্ঠিত হয় সেটাও পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে যে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেটা অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিল মাসে এবং এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কতৃপক্ষের পক্ষ হতে জানিয়েছে, প্রার্থীদের পরীক্ষার জন্য পুরো সিলেবাস পড়তে হবে না। কারণ এরই মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশিত হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি পড়ার পর পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে।
প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান এবং এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারনে গত বছর পরীক্ষাই হয়নি। এ বছর শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। আর আগামী বছর নির্ধারিত সময়ের পরে সব বিষয়েই পরীক্ষা হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত ১০ বছর ধরে যে সূচিতে ক্লাস-পরীক্ষা চলছিল সেগুলোর সবকটি সূচকই হোঁচট খেয়েছে। এর ফলে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৯ মাস এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ মাস পিছিয়েছে। শিক্ষা প্রশাসন মনে করছে, ২০২২ সালেও চলমান পরিস্থিতির প্রভাব থাকবে। এতে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ যিনি আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তিনি দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আগামী বছর যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেটা কমপক্ষে দুই মাসের মতো পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবারের পরীক্ষা নয় মাসের মতো পিছিয়ে গিয়েছে। সেই হিসেবে আগামী বছরও সময় কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সাল হতে আগের মতো সময়েই দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।