নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি মামলায় ১৯৯৭ সালে অভিযুক্ত হন নিজাম উদ্দিন (৬৮)। আদালতের রায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ার পর তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করেন এবং উক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন৷ আর এখান থেকেই একপর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ‘ভন্ড পাগল দয়াল বাবা’ হিসেবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত শেষরক্ষা হলো না এই ব্যক্তির৷ মামলার রায়ের ১৬ বছর পর নিজাম উদ্দিন (৬৮) নামে তিন বছরের এক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj ) থানা পুলিশ।( police. ) গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj )ের গোদনাইল( Godnail Siddhirganj Narayanganj ) এলাকার আবুল কালামের( Abul Kalam ) ছেলে।
বুধবার (২ মার্চ( March )) দিবাগত রাত( Daytime night ) ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার পোলবাসুনদো( Polbasundo Alamdanga, Chuadanga ) গ্রাম থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj ) থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলমের( Nure Alam ) নেতৃত্বে পুলিশের( police ) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ১৯৯৭ সালের( year ) একটি মামলায় অভিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজা হওয়ার পর থেকে তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেকে ‘ভন্ড পাগল দয়াল বাবা’ পরিচয় প্রকাশ করে সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj ) থানা এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন এবং নিজেকে আধ্যাত্বিক চিকিৎসক পরিচয় দেন। তিনি এতোদিন কবিরাজি, তন্ত্র মন্ত্র ও আধ্যাত্বিক চকিৎসা প্রদান করে আসছিকেন। তিনি তার শশুর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার পোলবাসুনদো( Polbasundo Alamdanga, Chuadanga ) গ্রামে ‘ভন্ড পাগল দয়াল বাবা’ পরিচয়ে ব্যাপক পরিচিত হয়ে উঠেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj ) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম( Mashiur Rahman PPM ) বার জানান, গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন সময়ে খোঁজ নিয়েও তার অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছিল না। পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ( Siddhirganj ) থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলমের( Nure Alam ) নেতৃত্বে পুলিশের( police ) একটি টিম চুয়াডাঙ্গা( Chuadanga ) থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাত্র তিন বছরের কারাদন্ড থেকে বাঁচতে ছদ্মবেশ ধারণ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির চোখে ধুলা দিতে নিজাম উদ্দিনের( Nizam Uddin ) এত সাধ্যসাধনাও শেষ পর্যন্ত বিফলে গেলো। এখন আগের মামলার সাথে আরও বেশ কিছু মামলায় অভিযুক্ত হলে শেষপর্যন্ত হয়তো বাকিজীবনের বেশিরভাগ সময় হাজতবাস করেই থাকতে হবে তাঁকে৷