সরকারি চাকুরিতে থাকাকালীন যদি অন্য কোনো সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার ইচ্ছা পোষন করে কোনো সরকারী চাকুরে সেক্ষেত্রে নিতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই নতুন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করে যাচ্ছেন সরকারি চাকুরিতে থাকা কর্মচারীরা। নতুন চাকরি পাওয়ার পর তবেই অবহিত করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এখন কোনো সরকারি কর্মচারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যাতীত অন্য কোনো সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করলে ঐ আবেদনকারী সরকারী কর্মচারীক শাস্তির আওতায় আসবেন।
আদেশ জারির পর অনুমতি না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৮ অনুযায়ী শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জা’রি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে অনুমতি না নিয়ে আবেদন করেছেন তাদেরকে লিখিত বা ব্যবহারিক পরীক্ষার আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ১৭ নম্বর ধা’রায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোনো চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না।’।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা উপসচিব মুহাম্মদ লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে আরও বলা হয়েছে, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নব-নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের অনেকেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর কিংবা পরিদপ্তরের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে থাকেন। অনেকের চাকরি হওয়ার পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আদেশ জা’রির পর থেকে অনুমতি না নিলে সংশ্লিষ্টদের বি’রুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় কোনো একটি সরকারী চাকরিতে প্রবেশের পর পরবর্তীতে অধিক বেতনের আশায় কিংবা পছন্দনীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি লাভের আশায় বার বার আবেদন করে থাকেন। এরপর দেখা যায় ঐ আবেদনকারীর চাকরি হয়ে যাওয়ার পর তার কর্মস্থলের কতৃপক্ষকে জানান। এই নিয়মের পর সেটা অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে এই আিনের পর কিছু অস্বস্তিতে পড়েছেন চাকুরিতে থাকা অন্য স্থানে চাকরী প্রত্যাশীরা।