রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্ত’প্ত করার জন্য কোনো একটি রাজনৈতিক দল সুযোগ নিবে সেটাই এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক কৌশল। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতা থেকে নামাবার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সকল রাজনৈতিক দল এই পথ নিচ্ছে না কারন তারা এখনও সে পর্যায়ে যেতে পারেনি। দেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সময়ে অনেক দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে সেই পরিস্থিতিকেও সরকার বেশ কৌশলেই নিয়ন্ত্রনে আনছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় সরকার যে ক’ঠো/র অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করছে তাতে পুরোপুরি নি’র্মোহভাবে দলমত নির্বিশেষে অপ’রা’/ধীদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সবাই জানে, জামায়াত-হেফাজত ইসলাম সাম্প্রতিক সময়েও ষ’/ড়য’/ন্ত্রে লি’প্ত ছিল। সা’ম্প্রদা’য়িকতার ব্যাপারে যেকোনও শৈথিল্যে তারা সুযোগ নেবে।’
শনিবার (১৬ অক্টোবর) শহীদ রাসেল ব্রিগেড স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন এই রাজনীতিবিদ। চলামন পরিস্থিতি প্রতিরো’ধে শহীদ রাসেল ব্রিগেডের কার্যক্রম ১০০ দিন পূর্ণ করায় এর আয়োজন করা হয়।
রাশেদ খান মেনন মনে করেন, ভা’/ঙ’চুরের মতো সা’ম্প্রদা’য়িক হা’/ম’/লাকে ঘিরে দো’ষারোপের রাজনীতি এর সঙ্গে জড়িত ষ’/ড়’য’/ন্ত্রকারীদের প্রকৃত পরিচয়কে আ’ড়াল করবে। তার মন্তব্য, ‘সা’ম্প্র’দায়িক শক্তির সঙ্গে আ’পোষ করে চলার নীতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অবাধ প্রচার, ধ’/র্মের অপব্যাখ্যা এবং সর্বোপরি অসা’ম্প্র/দায়িক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেশে যে সা’ম্প্রদা’/য়িকতা ও সা’ম্প্র/’দায়িক মানসিকতার বিস্তার ঘটিয়েছে তাতে কেউই দা’য়মু’ক্ত নয়। সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলীতে তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে নেতৃত্ব প্রদানই এর প্রমাণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইতিহাসবিদ ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অনেকটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা যেকোনোভাবে একটি সক্রিয় এবং ফলপ্রসূ আ’/ন্দো’/লনের পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এবং তাদের দাবি আগামি নির্বাচন করতে হবে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তাদের এই দাবিকে আমলে নেয়নি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চলমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।