এবার দেখা গেল মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ীর ১৬ লাখ টাকা দিচ্ছেনা প্রবাসী বাংলাদেশিরা মূলত মালয়েশিয়ার ওই ব্যবসায়ীর পাওনা বকেয়া টাকা যেগুলো প্রবাসীরা পরিশোধ করছেন না কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলমা সার্ভিসের এই বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা উঠেছে এবং বাংলাদেশি প্রবাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন সময় বকেয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠান অর্ধশতাধিক গ্রাহক গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে
মালয়েশিয়া ব্যবসায়ীর ১৬ লাখ টাকার বকেয়া বিল প’রিশো’ধ করছেন না প্রবাসী বাংলাদেশীরা। মালয়েশিয়াস্থ কুয়ালালামপুর বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলমা সার্ভিসের প্রায় ৮৩ হাজার রিংগি’ত বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৬ লাখেরও বেশি টাকা বকে’য়া নিয়ে প’রিশো’ধ করেনি প্রবাসীরা। বিভিন্ন সময়ে বকেয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক এখন গাঢাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাং’শ ক্রেতা। রয়েছে বাংলাদেশী প্রবাসী। এছাড়া নেপাল ও পাকিস্তানি প্রবাসীও রয়েছেন।
এ ঘটনায় কুয়ালালামপুরে বালাই পুলিশের কাছে অ’ভিযো’গ দেয়া হয়েছে। বকেয়া টাকা ফেরত পেতে এবং গ্রাহকদের দৃ’ষ্টি আক’র্ষণ করতে এলমা সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী মো: ইব্রাহিম মিয়া ও ম্যানেজার মালয়েশিয়ান নাগরিক নন্দ কুমার কুয়ালালামপুরস্থ ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে শুক্রবার রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভি’যো’গ করেন।
এ সময় নন্দ কুমার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এলমা সার্ভিস রাজধানীর আমপাং এ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মুদির দোকান পরিচালনা করে আসছেন। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশী প্রবাসী ক্রে’তা। তাছাড়াও পাকিস্তানি ও নেপালী নাগরিক ও রয়েছেন। দোকান থেকে বকেয়া নিয়ে এক সময়ে মোটা অং’কের বি’ল হওয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে গেছেন। অনেক চে’ষ্টা করেও তাদের হদি’স পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্য’র্থ হয়েছি।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দাউদকা’ন্দি উপজেলার ইব্রাহিম মিয়া জানান, ২০১৭ সাল থেকে আমার ব্যবসা শুরু করি। ২০১৯ থেকে প্রবাসীদের মাঝে বাকি দেয়া শুরু করি তারপর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দু’বছরের ৮৩ হাজার রিংগি’ত বাকি পড়েছে। এ সময়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক ক্রেতা বিভিন্ন সময়ে ব’কেয়া নিয়ে সেটা প’রিশো’ধ না করেই আ’ত্মগো’পন চলে গেছে। আমি তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্য’র্থ হয়েছি এবং এত দিন ধৈ’র্য্য ধরে অপেক্ষা করেছি। পরে পুলিশ রিপো’র্ট করে মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের অ’বহি’ত করে আমার পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রবাসী ফজলুল হক জানান, মুদি দোকানের ব্যবসা করতে গিয়ে বাকি দি’তেই হয়। আর সেটা করতে গিয়ে ৮৩ হাজার রিং’গিত হা’রাতে বসেছেন ব্যবসায়ী ইব্রাহিম। প্রবাসীরা কুয়ালালামপুরে একসাথে ১০ থেকে ২০ জন করে ম্যাচে খাবার খায়। এভাবে জিনিসপত্র নিচ্ছে মাস শেষে বেতন পেয়ে টাকা প’রিশো’ধ করে দেয়। একটা সময় যখন বিল বেশি হয়ে যায় তখন টাকা পরিশো’ধ না করেই পা’লিয়ে যায়।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৬ লাখেরও বেশি টাকা বকেয়া পরিশোধ করছে না প্রবাসীরা এবং অনেকেই বকেয়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে। জানা গেছে এর মধ্যে নেপাল পাকিস্তানি প্রবাসীরাও রয়েছে তবে সবথেকে বেশি রয়েছে বাংলাদেশিরা। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে কুয়ালালামপুরে এবং পুলিশের কাছে ও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে