Sunday , December 15 2024
Breaking News
Home / Entertainment / অনেকেই নীলের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলে কান ভাঙাতে এসেছে: তৃণা

অনেকেই নীলের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলে কান ভাঙাতে এসেছে: তৃণা

কলকাতার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসা এবং জি বাংলা তে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে আসছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা এবং সেই সাথে রয়েছেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য। দুজনেরই অভিনয় দুর্দান্ত খুব অল্প সময়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তারা নিজেদের জায়গাটা বেশ পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন ছোটপর্দায়। সেই সাথে তাদের বন্ধুত্বের বয়স এক যুগেরও বেশি সময় ধরে

১২ বছরের বন্ধুত্ব। একে অপরের খুঁটিনাটি জানেন তারা। তারপরে বিয়ে। ৭ মাস কেটে গিয়েছে দাম্পত্যের। টেলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকা যুগল তারা। তৃণা সাহা এবং নীল ভট্টাচার্য। ছোটপর্দায় তাদের আলাদা আলাদা সংসার দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। কখনো ‘খড়কুটো’, কখনো আবার ‘কৃষ্ণকলি’। কিন্তু এই দুই তারকার ‘ঘর ঘর কি কাহানি’ কতোটা জমজমাট?

শ্বশুরবাড়িতে বেশ খোশমেজাজেই থাকেন তৃণা। বাড়িতেও যেমন এক গ্লাস জল নিয়ে খেতেন না, নীলের মাও তার বৌমাকে খাটাখাটনি থেকে দূরে রাখতে চান। নিজের মেয়ের মতো আগলে রাখেন তৃণাকে। কোনো কিছুর অভাব বোধ করেন না নায়িকা। তাও বাপের বাড়ির গন্ধই যেন আলাদা। নিজের বালিশ, নিজের ঘর, নিজের মা-বাবার জন্য মন খারাপ করে মাঝে মাঝেই। এই অনুভূতি তো আর সব কিছুর থেকে আলাদা।

রান্না করতে ভালোবাসেন তৃণা। কিন্তু হাতে সময় থাকে না। সারাদিন শ্যুট করে আসার পরে রান্নার শখ ভুলে যেতে হয়। তবে ছুটি থাকলেই তিনি রান্না করেন। বাড়িতে বন্ধুবান্ধব এলে রকমারি সুস্বাদু খাবারের গন্ধে তাদের বাড়ি ম ম করে। নীলের পছন্দ মতো দেশ-বিদেশের মিষ্টি বানান তৃণা।

আর নীল? তৃণার কথায়, ও রান্নাঘরে যাওয়ার থেকে না যাওয়া ভালো।

গ্যাসের থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন অভিনেতা। কিন্তু তা বলে স্ত্রীকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে খামতি নেই তার। বাসন মাজায় তিনি নাকি খুবই পটু। সব থেকে বড় কথা, এই কাজটি তিনি ভালোবেসেই করেন।

লকডাউনের সময়ে যখন বাড়িতে পরিচারিকা ছিলেন না, নিজেরাই সব কাজ করেছেন। তৃণা রান্না করলে নীল বাসন মাজতেন। আরো একটি কাজ তার বাঁ হাতের খেল। তৃণা বললেন, যে কোনো রকম ঠাণ্ডা পানীয় বানানোর ব্যাপারে নীলের জুড়ি মেলা ভার। এটা বরং আমার দ্বারা হয় না।

এ সব কথার মাঝে নিজের শ্বশুরের প্রশংসা করতে ভুললেন না অভিনেত্রী। ‘খড়কুটো’র গুনগুন যেমন তার শ্বশুরের গানে মুগ্ধ, তেমনই তৃণা তার বাস্তব শ্বশুরের হাতে মুরগির মাংসের গুণমুগ্ধ।

তৃণা আবার নীলের প্রসঙ্গ এনে বললেন, আমরা দু’জনেই দু’জনকে অনেকটা নিজস্ব সময় দিই। বাড়িতে যখন নীলের বন্ধুরা আসে, তারা ঘরে বসে আড্ডা মারে বা ভিডিয়ো গেম খেলে, খুব প্রয়োজন না পড়লে আমি সেই ঘরে যাই না। আমার বন্ধুরা এলেও নীল সে কথা মাথায় রাখে।

তাছাড়া যদি নীলের কোনো দিন রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়, তৃণা তাকে ফোন করে বিরক্ত করেন না। কেবল নীল সুস্থ আছেন কিনা অথবা কোথায় আছেন ইত্যাদি খোঁজ নিয়েই ছেড়ে দেন। বেশির ভাগ সময়ে নীলই তাকে জানিয়ে দেন তিনি কোথায় আছেন।

কিন্তু এই ১২ বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পথচলায় মানুষের কুনজরও সহ্য করতে হয়েছে তাদের। তৃণা বললেন, অনেকেই অনেক সময়ে আমার কাছে এসে নীলের সম্পর্কে কথা বলেছে। ভেবেছে আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হবে। বিশেষ করে আমরা যে জগতে কাজ করি, সে‌খানে এ সব হামেশাই হয়। কিন্তু সফল হয়নি কেউ। কারণ আমার আর নীলের মধ্যে সেই বোঝাপড়া রয়েছে।

তৃণা নীলকে একটিই কথা বলেন, আমাকে যেন কিছু শুনতে না হয় বাইরের কারো থেকে। তোমার জীবনে যা ঘটবে তা আমি আগে জানবো। যাতে কেউ খারাপ কথা বলতে এলে বলতে পারি, আসল ঘটনার সম্পর্কে অবগত আমি।

আর সেটাই হয়। নীলও তার স্ত্রীর কাছ থেকে সেটাই আশা করেন। সম্পর্কের স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী তারকা দম্পতি। তাই সবার আগে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে নেন তারা।

সাত পাকে বাঁধা পড়ে ছিলেন টেলি অভিনেত্রী তৃণা সাহা এবং অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ভারতীয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসা এবং জি বাংলা তে ধারাবাহিক কিছু নাটকে অভিনয় করার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রী। এরপর তারা একে অপরের বন্ধুত্বের অবসান ঘটিয়ে গাঁটছড়া বাঁধেন এখনো পর্যন্ত টেলিপাড়া জনপ্রিয় তারকা যুগল হিসেবে তারা পরিচিত রয়েছে

About

Check Also

হাসিনাকে মা ডেকে জমি পায়নি, এবার ড. ইউনূস’কে বাবা ডাকতে রাজি জয়

মা সবসময় সন্তানের আবদার পূরণ করে থাকেন। কখনও সন্তানকে ফিরিয়ে দেন না। এ জন্যই আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *