দেশের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিকভাবে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মাঝে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। এই ভোটে অনেক সময় অংশগ্রহন করতে দেখা যায় আপনজনদের মাঝে ল’/ড়া’ই। এবার বগুড়ার ধুনট ইউনিয়ন এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে দেখা গেছে ভিন্ন ধরনের বিষয় যেখানে ইউপি সদস্য পদে লড়ছেন স্বামী এবং স্ত্রী। তারা হলেন উপজেলার চালাপাড়া নামক গ্রামের শাহেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোট চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সদস্য পদে মোট ৪ জন লড়ছেন। তারা হলেন শাহজামাল, আবুল কাসিম, শাহেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৬ জন।
বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ভোটারদের দোরগোড়ায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ভোটাররা।
তফসীল অনুযায়ী ৪ নভেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে নাজমা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং তার স্বামী সাহেদ আলীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে সাহেদ আলী এ বিষয়ে বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপীল আবেদন করেছেন। সোমবার (৮ নভেম্বর) সাহেদ আলীর আপীল আবেদনের শু’নানি অনুষ্ঠিত হবে।
চালাপাড়া গ্রামের ভোটার মোকবুল হোসেন বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। কাকে ছেড়ে কাকে ভোট দেব। প্রার্থীদের চেয়ে আমরাই বেশি চিন্তায় আছি।’
আনিশা খাতুন নামের ঐ গ্রামের একজন ভোটার বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী মিলে একসাথে ভোট চাওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে এসছেন। তাদের দুজনের কাউকে ভোট দিব এমন কথা বলিনি। যোগ্য প্রার্থী যে তাকেই আমরা ভোট দেব। ‘
শাহেদ আলী বলেন, যদি কোনো কারণে আমি মনোনয়ন না পাই তাহলে সেখানে আমার স্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আমি আশা করি আপীলে আমার প্রার্থিতা বাতিল হবে না বরং বৈধ হবে। এখন দুজনই নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। নাজমা খাতুন এ বিষয়ে বলেন, আমি যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই আমি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক, গ্রামের মানুষ কি সিদ্ধান্ত নেয়।