পড়াশোনা করার বিষয়টিকে সবাই সমানভাবে গ্রহন করেন না। কারন অনেকে নিজেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য পড়াশুনা করে থাকে, কিন্তু বেশিরভাগ হয়ে থাকে একটি ভালো বেতনে চাকরির আশায়। আর এই কারনে জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে ধরে নেওয়া হয় পড়াশুনা করাক। অনেকে মনে করে থাকেন, পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর একটি ভালো বা মোটা বেতনের চাকরি পাওয়ার মাধ্যমে জীবনে নিশ্চিয়তা আসবে। কিন্তু জীবনের হিসাব সকল সময়ে জীবনে ঐ ধরনের প্রাচূর্য এনে দিতে পারে না। এমনকি শিক্ষা সুখ এনে দিতে পারে না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা’ইরাল হওয়া এক নারী ভিক্ষুকের অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলার ভিডিও সেই কথাটিই মনে করিয়ে দেয়। নিজেকে কম্পিউটার সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েট করা বলেও দাবি করেছেন তিনি। শনিবার (২০ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বেনারসে স্বাতী নামে ওই নারী ভিক্ষা করেন। তবে অন্য ভিক্ষুকদের থেকে যে বিষয়টি স্বাতীকে আলাদা করেছে, তা হলো তার অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা।
গণমাধ্যমের কাছে নিজের জীবনের কাহিনী তুলে ধরেন স্বাতী। তিনি জানান, তার বাড়ি দক্ষিণ ভারতে। আর সবার মতো পরিবারের সাথে স্বাভাবিক জীবনই কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু ঝা’মেলা শুরু হয় প্রথম সন্তান জন্মের পর তার শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়ায়।
এই ঘটনা ঘটানোর পর তাকে জো’রপূ’র্বক বাড়ি থেকে বাহির করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়িয়ে শেষবধি স্বাতী বেনারসে নিজেকে থিতু করেন। গেল তিন বছর যাবৎ তিনি এখানে থেকে তার জীবন পরিচালনা করছেন। এখন তার জীবন পরিচালিত হচ্ছে অন্য মানুষের সাহায্যের ওপর।