বর্তমান প্রযুক্তির যুগ। বিশ্ব জুড়েই ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘরে বসেই তরুনরা উপার্জন করছে অর্থ। এর ফলে বেকারত্বও কমেছে অনেকটা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুনদের মত বাংলাদেশের তরুনরাও এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘরেই বসেই উপার্জন করছে অর্থ। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ফ্রিল্যান্সিং প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশে গড়ে উঠছে ডিজিটাল অর্থনীতি। আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। আইটি খাতে রফতানি ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এবং জিডিপিতে সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশজুড়ে গড়ে তুলেছে ৩৯টি হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে সারাবিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে সাড়ে ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের পেশাগত উন্নয়নে আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।’
বঙ্গভবনের গ্যালারি হল থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ আয়োজিত চার দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি-২০২১’ এবং ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার ও জালিয়াতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি একদিকে যেমন আমাদের জন্য অবারিত সুযোগের দ্বার উন্মোচিত করেছে, তেমনি এর অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জেরও জন্ম দিয়েছে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রগামী প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দেশের ডিজিটাল খাতের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। দেশের বেকার সমাজ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মমূখী হয়ে উঠেছে।