শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী প্রান্ত ফারদিন দীঘি। তিনি বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয়ের কথা আজও শ্রোতাদের মনে আছে এবং তার মিষ্টি সংলাপগুলো কানে বাজে।
দিঘী আর শিশুশিল্পী নন, দীর্ঘ বিরতির পর অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লেখান এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোয় অভিনয় করেন। সবশেষ সরকারি অনুদানের নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় আসে দীঘি। নতুন বছরে নতুন ছবি মুক্তির মাধ্যমে দীঘির যাত্রা শুরু হলেও হাতে কোনো নতুন ছবির খবর ছিল না এ অভিনেত্রীর।
এদিকে বছরের মাঝামাঝি হঠাৎ দিঘীতে এমন খবরে সবার চোখ কপালে উঠেছে।। সোমবার (১ জুলাই) রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন এই অভিনেত্রী। আর তা নিয়ে তোলপাড় নেট দুনিয়া। পোস্টে তার অনামিকা আঙুলে একটি আংটি দেখা যাচ্ছে। হাতে মেহেন্দি আঁকা। আর হাতের নিচে বিয়ের কার্ড! ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, আর অপেক্ষা করতে পারছি না…! সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
এত দীর্ঘ পোস্টের পর অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে কি দিঘীবিয়ে করেছে? আবার কেউ বলছেন, বিয়ে নাকি অভিনয়?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না অভিনেত্রী। ফেসবুকের সেই পোস্টটি মূলত প্রমোশনাল। চুক্তিবদ্ধ হওয়া নতুন একটি সিনেমার প্রমোশনের উদ্দেশেই পোস্টটি দিয়েছেন দীঘি।
এ প্রসঙ্গে দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বলেন, বিষয়টি অনেকেই যা ভেবেছিলেন তা নয়। দিঘীর নতুন সিনেমা আসছে, তারই প্রমোশনাল পোস্ট। নতুন সিনেমার ঘোষণা আসছে আজ (২শে জুলাই) সন্ধ্যায়। তখনই কে পরিচালনা করছেন, দীঘির বিপরীতে কে আছেন—সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।