ড. হাসান মাহমুদ যিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি এবং সম্প্রচারে আকাশ উন্মুক্ত। দেশের সরকার কখনও কোনো ধরনের চ্যানেল বন্ধ করতে বলেনি। ক্লিনফিডের দেওয়া ২৪ টি বিদেশী চ্যানেল চালাবার জন্য কোনো রকম বা’ধা নেই। আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটিসিও) প্রতিনিধিদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য আপনাদের পক্ষ থেকে আমাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এটার জন্য ধন্যবাদ। দেশের আকাশ উন্মুক্ত।
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী; যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই আছে। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে। সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকা সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। সব পক্ষের সঙ্গে দ’/ফায় দ’/ফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে বৈঠক করে আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করবো। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিদেশি ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়। সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বা’ধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বা’ধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভ’ঙ্গ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড সম্পর্কে একটি কু’চ/ক্রী মহল বি/ভ্রা’ন্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। আমি আশা করি, তারা কোনো ধরনের অযৌক্তিক বি’ভ্রা/ন্তি ছড়ানো হতে বিরত থাকবেন। সরকার সকল ধরনের আইন বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া শিল্পের স্বার্থে, শিল্পী ও সাংবাদিকদের স্বার্থে এই আইনটি বাস্তবায়ন করেছি। তাই কেউ সবার স্বার্থের বিপরীতে গিয়ে অবস্থান নেবেন না। সরকার জনগনের কল্যানের জন্য সর্বদা সচেষ্ট এবং এ পর্যন্ত যা করেছে সেটা জনগনের স্বার্থেই করেছে। তাই কেউ কোনো বিষয়ে বিভ্রা’ন্ত হবেন না।