পুরান ঢাকায় পুলিশের নির্যাতনে বডি বিল্ডার ফারুক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপি। তবে এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর কাছে আপত্তিকর প্রস্তাবটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. বি: মাহিদ উদ্দিন জানান, ফারুকের স্ত্রী হ্যাপি ৩৪ মিনিট কায়েতটুলী ফাঁড়িতে অবস্থান করেন। ওই সময় ইমদাদ উপস্থিত ছিলেন না বলে আমরা ভিডিও ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, ঘুষ চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে এসব কথার সত্যতা আমরা পাইনি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারি রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে ফারুককে নাজিমউদ্দিন রোড চেকপোস্ট থেকে কায়েটুলী ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ফারুকের স্ত্রী হ্যাপি ১ ঘণ্টা পর সেখানে আসেন। তবে অভিযুক্ত এসআই ইমদাদুল হক যতক্ষণ হ্যাপি ফাঁড়িতে ছিলেন ততক্ষণ উপস্থিত ছিলেন না। বরং বংশাল থানায় বদলি হওয়ার পর ফারুক ফাঁড়িতে যান।
পরে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তার স্ত্রী হ্যাপি তার সন্তানসহ ফারুকের সঙ্গে থানায় দেখা করেন।
চ্যানেল 24 প্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পায়রা চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ফারুকের মৃত্যু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে শরীরটি স্বাভাবিক ছিল কিন্তু পিঠের নিচের দিকে লালচে-কালো চিহ্ন রয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক।