অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার আবদুল কাদের মাঝির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গেছে, কোটি টাকার ব্যাংক লোন ও চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কাদের। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এমন প্রতারণা ও ধাপ্পাবাজি করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি।
এদিকে অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার আবদুল কাদের মাঝির সঙ্গে সংশ্নিষ্টতার অভিযোগে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের কাছে কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট হতে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বিষয়গুলো হলো- কেন দশম শ্রেণি পাস কাদেরকে মুসা তার আইন উপদেষ্টা নিয়োগ দিলেন, কেন তাকে ২০ কোটি টাকার চেক দিলেন এবং কাদেরের সঙ্গে মুসার আর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা।
এরইমধ্যে প্রতারক কাদেরের ব্যাপারে জানতে মুসাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) অথবা মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মিন্টো রোডের কার্যালয়ে তার আসার কথা রয়েছে।
এদিকে রোববার (১০ অক্টোবর) মুসার ছেলে আইনজীবী জুবি মুসা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কাদেরের ঘটনায় তার বাবার জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন গোয়েন্দাদের কাছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, কাদেরের প্রতারণা ও মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তার কী ধরনের সম্পর্ক- এটি জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছিলেন প্রতারক আবদুল কাদের ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের আইন উপদেষ্টা দাবি করতেন। কাদেরের কাছে মুসা বিন শমসেরের প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন নথি পাওয়া গেছে।
এদিকে এ সকল অভিযোগের আলোকে আদালতের মাধ্যমে কাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
তবে এ ছাড়াও আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, তার এ অপকর্মে নারীদের দিয়ে ফাঁদ পাততেন তিনি। এছাড়া তার তিনন স্ত্রীও রয়েছে। বেশকিছু তরুণীদের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে তার।