বিএনপি দল নানা ভাবে নি/র্যা/তি/ত এবং নি/পী/ড়ি/ত দীর্ঘ সময় ধরে। এই দলের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় সময় নানা ধরনের অভিযোগ করে আসছে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এবং সকল অনিয়মের প্রতিবাদ করতে ব্যার্থ হয়েছে। তবে সম্প্রতি হঠাৎ করেই বেশ সরব হয়েছে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকি ৎসার দাবি নিয়ে। ইতিমধ্যে এই দলের অনেক নেতাকর্মীরা নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যতো ধরণের বিপর্যয় আসুক আপনারা আজকে যে আন্দোলন করছেন, এ আন্দোলন অব্যাহত রাখুন। এ ধারাবাহিকতায় ব্যাপক মানুষকে এক জায়গায় করে ধীরে ধীরে আন্দোলনকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যাতে এ স্বৈ/রা/চারের পতন হয়। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই বলি আমিতো বিএনপি করি না। হয়তো করবো না, কিন্তু ন্যায়নিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ একটা নেতার পক্ষে, একটা আদর্শের পক্ষে যেকোনো ধরণের বিপদের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছি। আপনাদের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি নেওয়া হোক আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আগেই সং/হতি প্রকাশ করছি। শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা পৌনে বারোটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে দলের আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে এ গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে এ রকম একটা নিষ্ঠুর হৃদয়হীন সরকার আমাদের দেশে আসতে পারে। যারা এখন ক্ষমতায় বসে আছে। তারা একদিকে নিষ্ঠুর আর একদিকে প্র/তা/রক, আর একদিকে মিথ্যাবাদী। আর সবচাইতে বেশি হলো তারা ভীতু সরকার। তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায়। তারা জানে উনি যদি প্রকাশ্যে জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তাহলে সেই কথায় মানুষ নড়েচড়ে রাজপথ কাপিয়ে দেবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ জন্যই এতোটা মিথ্যা কথা বলছেন, ভোট চু/রি করেছেন, ডা/কা/তি করেছেন। তারপরে টেলিভিশনের সামনে এসে বলেন, এতো চমৎকার নির্বাচন করলাম, আর বিরোধীদল মানে না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন দশ টাকা করে চাল খাওয়াবেন। এখন চাল সত্তর টাকা। উনি বলেন, আর কত দাম কমাবো। দাম কমলে কমে দশ টাকা, নয় টাকা, আট টাকা, সাত টাকা হয়। সত্তর টাকা হয়েছে, আর উনি বলছেন দাম কমিয়েছেন। এ জন্যেই আমি বলি এ সরকারের কাছে দাবি পেশ করে খুব লাভ হবে না। এ সরকারকে চাপ দিয়ে দাবি আদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, এ সমাবেশে দাঁড়িয়ে আমি দিল্লীর তথা ভারতের কৃষকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এত বড় লৌহ মানবের মতো এক নেতা, উনি জনগণের কাছে কড়জোরে ক্ষমা চেয়েছেন এবং কৃষিবিল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অপেক্ষা করেন, দিন আসবে যখন আমাদের ইনিও (প্রধানমন্ত্রী) দুই হাত জড়ো করে ক্ষমা চাইবেন, কিন্তু মানুষ ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, আমি মনে করি আজকের কর্মসূচি শেষ কর্মসূচি নয়। যতোদিন পর্যন্ত এ সরকারকে সরাতে না পারবেন ততোদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং আন্দোলনের প্রতিটা পদক্ষেপে আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকবো।
বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবীদ মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সক্রীয় রয়েছেন। সম্প্রতি সময়ে তিনি বর্তমান সরকারের নানা অপরাধ কর্মকান্ড গুলো জনগনের মাঝে তুলে ধরছে। এবং এই সরকারের পতনে বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বন জানিয়েছেন। এমনকি তিনি বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যতো ধরণের বিপর্যয় আসুক চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখুন।