Sunday , December 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমি ভেবে নিয়েছিলাম আল্লাহর পরেই আমার নেত্রী রয়েছেন: মেয়র জাহাঙ্গীর

আমি ভেবে নিয়েছিলাম আল্লাহর পরেই আমার নেত্রী রয়েছেন: মেয়র জাহাঙ্গীর

অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম যিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম করুনাময় আল্লাহ প্রথম স্থানে আর এরপরেই আমার নেত্রী আছেন। আমি সবসময় ভাবতাম, কোনো ধরনের যদি বি’পদে-আপদে পড়ি তাহলে ওনাকে স্মরণ করলে আল্লাহর তরফ হতে আমি আমাদের নেত্রীকে পাব। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়….।

আজ (শনিবার) অর্থাৎ ২০ নভেম্বর গাজীপুরে মেয়রের নিজস্ব বাসভবনে থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর আলম এমন ধরনের কথা বলে থেমে যান। তিনি দূ:খ প্রকাশ করলেন ঠিক কোন বিষয়টি অর্ধেক বলার মাধ্যমে সেটা তিনি আর ঐ মুহূর্তে পরিষ্কার করে বলেননি। তিনি বলেছেন, আমরা সকলে নিজেদের জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে কাজ করেছি।

বিরো’ধীদের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়র বলেন: “তারা যেকোনো মূল্যে আমাকে, আমার পরিবার এবং আমার সমর্থকদের ক্ষতি করার জন্য সবকিছু করছে। কখনও কখনও তারা আমাকে হ’/ত্যা করতে চেয়েছিল, কখনও তারা আমাকে চ/ক্রা’ন্ত করার মাধ্যমে এখান থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল।’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে গাজীপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। ২০১৩ সালে মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার পক্ষে কাজ করেছেন।

২০১৮ সালে তাকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জন্মের পর যেদিন থেকে তিনি বুঝতে শিখেছি সেইদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি।’

তার অস্তিত্বের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচন থেকে এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে বহু ষ’ড়য/ন্ত্র করা হয়েছে।’

নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা

‘আমি নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। আমি এই নগর বাসীদের জন্য রাস্তা করতে ৮ হাজার বিঘা জায়গা চেয়ে নিয়েছি, ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় সমাপ্তির পথে নিয়ে এসেছি। ৩২ হাজার বাড়ি-ঘর ও দোকান তারা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সেজন্য আমি নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাই। এ রাস্তাগুলো আমার ব্যবহারের জন্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে। সেই উদ্যোগে আমি কাজটি শুরু করেছিলাম,’ বলেন জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি উদাহরণ টেনে দাবি করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ বা নগর নেই যেখানে রাস্তার জন্য ৩২ হাজার বাড়ি-ঘর ও দোকান ছেড়ে দেয়। আমি সেটা করেছিলাম। মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করেছিলাম রাস্তার জন্য। রাস্তার জন্য ঘর-বাড়ি ভাঙার জন্য জনগণকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো টাকা দিতে হয়নি। জনগণ আমার কথায়, কাউন্সিলরদের কথায় ও আওয়ামী লীগের কথায় জায়গা থেকে বাড়ি-ঘর, দোকান সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারা আমার এ কাজটিকে সহ্য করতে না পেরে ভিন্ন পথে সরে গেছে।’

তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি বড় ধরনের আশ্রয় এবং আদর্শের জায়গা। গাজীপুর মহানগরীতে ২,৬০০টির বেশি কারখানা আছে এবং এখানে একের পর এক প্রতিষ্ঠা হচ্ছে কল-কারখানা। ছাত্রজীবনে যখন রাজনীতি করেছি কিংবা বর্তমান সময়কার রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোনো ধরনের কারখানার মালিকের নিকট হতে ১ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ টাকা এমন ধরনের কোনো অর্থ পাইনি। কিছু মিথ্যাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিকট আমাকে নিয়ে বলেছে, আমার দল ও সিটি করপোরেশন চালাতে আমরা প্রতি মাসে শিল্পকলকারখানা থেকে টাকা নিচ্ছি। দ্বিতীয় বললো, আমরা মানুষ জনের জমি নিয়ে নিয়েছি।

তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আমাদের এই পৌর এলাকায় ৫৬টির মতো ওয়ার্ড আছে, সেখানে রয়েছেন কাউন্সিলর, সাধারণ মানুষ এবং দলীয় নেতাকর্মীরা আছেন। জমি নিয়ে যদি কোনো মানুষ আমাদের নিকট সমস্যা নিয়ে এসেছেন তাহলে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা কোনো মানুষের ভূমি আত্মসাৎ করিনি বা কোনো ধরনের অপব্যবহার করিনি। কিন্তু মিথ্যাবাদী একটি চক্র সুবিধা আদায়ের জন্য নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। ‘

 

About

Check Also

হাসিনাকে গার্ড করতে গিয়ে আমরা অশান্তি চাই না, ও দেশে ফেরত যাক

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এর পর থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *