পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পদক নোবেল পুরস্কার। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিবছড়েই এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি এই বছরের নোবেল জয়ীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই পুরষ্কারকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীকে প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার না পাওয়ায় দুই দিন ধরে নিজের মন খারাপ বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নাগরিকের ভোটাধিকার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা জানান। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, `প্রধানমন্ত্রী নোবেল প্রাইজ পাননি, তাই দুই দিন ধরে আমার মন খারাপ। উনি কয়েক দিন আগে অনেক জায়গায় গিয়েছেন। তিনি অসলো যেতে পারতেন। গিয়ে তাদের বোঝাতে পারতেন, তিনি শান্তির জন্য কী কী করেছেন।’ জাফরুল্লাহ আরো বলেন, অবশ্য সেখানে গেলে তিনি অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন। বাংলাদেশে আইনের শা/স/ন নেই কেন? ডিজিটাল আইন কেন? কেন ছাত্র-হুজুরদের জামিন দিচ্ছেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, শেখ পরিবারের সবার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও শেখ রেহানার নামে কিছু নেই। তাকে তো কিছুটা অধিকার দেওয়া উচিত ছিল। রেহানাকে একটা ব্যবস্থা করে দেন, নয়তো আওয়ামী লীগ হারিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জনগণ দেশের মালিক। দামের কারণে চাল কিনতে পারি না, চিকিৎসা পাই না, ভোটের অধিকার নেই—এ কেমন মালিক? কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে গ্রে/প্তা/র প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, রাকাকে কেনো গ্রে/প্তা/র করলেন? তার ভাই প্রধানমন্ত্রীর মনমতো কথা বলেন না। তাই বলে ভাইয়ের বদলে তাকে ধরবেন? দেশবাসী পরিবর্তন চায় দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, রাস্তায় নামেন। সংবিধান কোনো কোরান শরিফ না। জনগণের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন কাজ না। একটু একটু করে পরিবর্তন করতে হবে৷ জাফরুল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের মানে হলো জবাবদিহি। জনগণ যেন প্রশ্ন করতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রায় সময় বর্তমান সরকারের নানা অনিয়মের কর্মকান্ড প্রকাশ্যে তুলে ধরছেন। এবং দেশে গনতান্ত্র রক্ষায় সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এছাড়াও বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে বেশ কয়েকবার।