Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Entertainment / পরিবারের লোকজন অনেক দিন আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছে: অক্ষয় কুমার

পরিবারের লোকজন অনেক দিন আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছে: অক্ষয় কুমার

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন অক্ষয় কুমার। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করছেন। এবং তিনি তার অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এবং অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। সম্প্রতি তার একটি নতুন সিনেমা প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এবং তার চলামন কর্মব্যস্ততা নিয়ে বেশ কিছু কথোপকথন হলো এই জনপ্রিয় অভিনেতার সঙ্গে।

অতিমারি বিধ্বস্ত সময়ে ‘সূর্যবংশী’ বক্স অফিসে একশো কোটির গণ্ডি পেরোবে—এমনটা কি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন?

উ: না। ‘বেল বটম’ রিলিজ়ের সময়ে আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু সে ছবির ব্যবসা ৪০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল। তিন-চার মাসের ব্যবধানে গোটা দেশে পুরো ছবিটাই পাল্টে গিয়েছে। এখন অনেক বেশিসংখ্যক সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই এই বিপুল অঙ্কের ব্যবসা হয়েছে।

প্র: ছবিতে হেলিকপ্টার দৃশ্যের স্টান্ট করার সময়ে আপনি নাকি সেফটি গিয়ার পরেননি। এটা কি সত্যি?

উ: দৃশ্যটা করার আগে নিরাপত্তার সব দিক আমি পরীক্ষা করে নিয়েছিলাম। পাইলটের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেছিলাম। টেকটা শেষ হতে আড়াই মিনিট সময় লেগেছিল। ওইটুকু সময়ের জন্য গ্রিপ ধরে রাখা আমার পক্ষে কঠিন ছিল না।

প্র: এমন ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট করা নিয়ে আপনার পরিবারের কী মত?

উ: অনেক দিন আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছে পরিবারের লোকজন। আমি মনে করি, ভয় দু’রকমের—ভাল আর খারাপ। স্টান্ট করার আগে সব কিছু দেখে-বুঝে পরখ করে নেওয়াটা ভাল ভয়। সেটা আপনাকে নতুন কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে। খারাপ ভয় হল, কোনও কাজ না করে শুধু ভয় পেয়ে গুটিয়ে যাওয়া। এতে আখেরে কোনও সুবিধে হয় না।

প্র: ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গত দেড় বছরের সাফল্যের পরে মনে করা হচ্ছিল, একটু হলেও সুপারস্টারদের প্রাধান্য কমবে। আপনারও কি তা-ই মনে হয়?

উ: আগেও বলেছি, আজও বলব, লেখকরাই আসল হিরো। তাঁদের লেখা সংলাপের জন্যই অভিনেতারা স্টারের আসনে বসেন। সিনেমা হলে দর্শক ভাল গল্পের জন্য আসেন। সেলিম-জাভেদের মতো চিত্রনাট্যকারেরাই তো কত অভিনেতাকে তারকা বানালেন!

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে তিন দশক কাটানোর পরেও কি বক্স অফিসের অঙ্ক নিয়ে আপনার উদ্বেগ থাকে?

উ: হ্যাঁ, ওটা থাকবেই। কারণ যত বড় মাপের ছবি, তত বেশি টাকার লগ্নি থাকে। আর ব্যবসা না হলে, বড় বাজেটের ছবি বানানো হবে কী করে?

প্র: কোন বিষয়টা একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়?

উ: ও ভাবে বলা মুশকিল। দর্শক যখন আমার প্রশংসা করেন, তখন খুব ভাল লাগে। ছবি ভাল ব্যবসা দিলেও ভাল লাগে। আর নতুন ছবির কাজ শুরু করলেও ভাল লাগে।

প্র: কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ছবির নির্বাচন কী ভাবে করেন?

উ: চরিত্রে যত বেশি বৈচিত্র থাকে, অভিনেতা হিসেবে সেটা তত লোভনীয় আমার কাছে। ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘অতরঙ্গি রে’… প্রতিটি চরিত্র একে অপরের চেয়ে আলাদা।

প্র: আপনার ছেলে আরভ কি ছবির জগতে আসতে পারেন?

উ: এখনও অবধি তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। এই মুহূর্তে ও পড়াশোনা করছে।

প্র: অতিমারি-পীড়িত দর্শকের উদ্দেশে কী বার্তা দিতে চান?

উ: অতিমারি যখন তুঙ্গে ছিল, তখন আমাদের সুস্থ রাখতে কর্তব্যে অবিচল ছিলেন ডাক্তার এবং পু/লি/শ বিভাগের কর্মীরা। এখনও সেটা করে চলেছেন তাঁরা। আমাদেরও সতর্কতাবিধি মেনে কাজ করতে হবে। অতিমারির কারণে হিন্দি-সহ সব ভাষার ছবির ব্যবসাই মার খেয়েছে। আশা রাখব, দর্শক এ বার সিনেমা হলে আসবেন।

দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন মাধ্যম বন্ধ ছিল ভাইরাসের প্রকপে। এবং অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী ঘরবন্ধি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তবে সম্পর্তি এই মাধ্যম কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এবং বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রর্দশিত হয়েছে সিনেমা হল গুলোতে। তবে এই সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়েও অক্ষয় কুমারের অভিনীত সিনেমা ‘সূর্যবংশী’ বক্স অফিসে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।

About

Check Also

অবশেষে তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *