ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি কিছুদিন আগেই বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনায় এসেছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে লড়ে যাচ্ছেন। যেখানে নিজের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন করতে গিয়ে দলীয় কোনো কর্মী মারা গেলে দেয়া হবে ১০ লাখ টাকা, এবং মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার পরিবারের ভরণ-পোষণে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
এমন বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার পরপরই নানা সামালোচনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আসন্ন চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে বাসাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এই প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে বাসাইলের সাইফুল ইসলামসহ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ে ২৩ ইউনিয়নে মনোনীত প্রার্থীদের নামও রয়েছে।
বাসাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আমার কর্মকাণ্ড দল মূল্যায়ন করেছে বলে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ, কোনো মারামারি, সহিংসতা চাই না। কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা আমি বলেছিলাম। কারণ, ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে বাসাইলের একটি কেন্দ্রে তিনজন লোককে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। ওই লোকগো কেউ পাশে দাঁড়ায় নাই। আমি ওই কথাটারে একটা উদাহরণ হিসেবে জনগণরে বলছি, আপনারা নির্বাচন আইলে ভয় পাইয়েন না।’
এর আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলামের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক উঠান বৈঠকে দেওয়া ওই বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই নির্বাচন পারপাসে একটা লোক মারা যাইতে পারে। আমার কর্মী যারা তাদের একটা লিস্ট আছে। এই কর্মীদের ভিতরে যদি কেউ মারা যান আমার নির্বাচন করতে গিয়ে, তাহলে আমার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা তার পরিবারকে দেওয়া হবে। আর যদি মারামারি বাইড়াবাইড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তাহলে আমি তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবো। এমনকি তার সংসারের খরচও আমি চালাবো। আমি মাইট্টা ঢোরা সাপ।
এদিকে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহুর্তে অনেকটা সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে কেউ যেন অনিয়ম করার সুযোগ না পায়, সে দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।