দরিদ্র বা নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে উচ্চাশা দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার নজির এই দেশে কম নেই৷ নামসর্বস্ব এইসকল প্রতিষ্ঠান সরলমনের মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অতীতে অনেকবারই অসংখ্য মানুষকে করে তুলেছে নিঃস্ব৷ এরকম আরেকটি ঘটনাই দেখা গেলো রাজধানী ঢাকায়৷
দৈনিক মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা জমা করলে একসময় ঢাকা শহরে একটি করে ফ্ল্যাট বা জমি দেওয়া হবে—এমন স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী এলাকায় শিবপুর ক্ষুদ্র ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান। র্যাব-৪ ওই চক্রের তিনজনকে আটক করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফয়েজউল্লাহ (৫০) এবং দুই নারী সহযোগী আফরিন আক্তার (২৪) ও মোছা. তাসলিমা বেগম (৩৩)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইডি মোজাম্মেল হক এই তথ্য জানান।
মোজাম্মেল হক জানান, মিরপুর এলাকার কিছু ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৪-এর একটি দল রাজধানীর শাহ আলীর মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতারণার দায়ে শিবপুর ক্ষুদ্র ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে বস্তি এলাকার প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, সেলুনের কর্মচারী, ফুটপাতের দোকানদার, গৃহকর্মী ও নিম্ন আয়ের মানুষকে ঋণের লোভ দেখিয়ে সঞ্চয়ের নামে ডিপিএস করতে উদ্বুদ্ধ করতেন তাঁরা। এই কাজ করানো হতো মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নানা কৌশলে অফিস কার্যালয়ে নিয়ে যেতেন। এভাবে প্রতিদিন আনুমানিক ২৫০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করতেন তাঁরা।
সমবায় সমিতির নামে গ্রামীণ অঞ্চলসমূহে এরকম নানাবিধ চিট ফান্ডের কথা জানা গেলেও রাজধানী ঢাকায় এমন ঘটনা নতুন বলেই ধারণা করা যাচ্ছে