তাহলে কি এবার হাসিনার মত পরিনতি হবে মোদির?

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে সাধারণ জনগণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সরকারের নীতিমালা এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, মোদি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং কিছু বিতর্কিত আইন প্রণয়ন নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুসহ ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরে বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কৃষকদের সহায়তার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ।

কিছু জায়গায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও, কোথাও কোথাও পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিরোধী দলগুলো এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাদের দাবি, মোদি সরকার মানুষের চাহিদা এবং সমস্যা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিক্ষোভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের প্রতি তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। অনেকে আবার সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো সাময়িক এবং সরকারের উচিত কার্যকর সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসা।

এই বিক্ষোভ সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত যে, জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক।


নিজ দলের নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা নিহত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সহিংস হামলায় কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল মিয়া (৩০) প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে কাঞ্চন পৌর কার্যালয়ের সামনে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত পাভেল মিয়া কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস আলীর ছেলে। সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম জানান, তুচ্ছ এক বিষয়কে কেন্দ্র করে কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম স্বপন এবং পৌর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের মধ্যে মোবাইল ফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বায়েজিদ ও তার সমর্থকরা স্বপনকে খুঁজতে পৌর কার্যালয়ের সামনে আসেন।

স্বপনকে খুঁজে না পেয়ে বায়েজিদ ও তার অনুসারীরা পাভেল মিয়ার ওপর হামলা চালান। তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে পাভেলের মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত বায়েজিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, পাভেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।