বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম। অভিনয়, গান, প্রযোজনার মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন এই অভিনেতা। তবে তার কাজের জন্য প্রায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু কোন কিছুকে পাত্তা না দিয়ে আপন মনে নিজের করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে গ্রেফতার হন পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। ডাকলেই ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে ‘বাধ্য’ হিরো আলম এ প্রসঙ্গে যা জানাগেল।
নির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে জানতে হিরো আলমকে ডাকা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি ডিবির পক্ষ থেকে একাধিকবার স্পষ্ট করা হলেও বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসে। সবশেষ গত ৭ আগস্ট ডিএমপির পক্ষ থেকে বিবিসির নিউজকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।
যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বাধ্য থাকবেন হিরো আলম- এরকম কথাও উল্লেখ রযেছে মুচলেকায়। জেনে নিন আর কি কি আছে-
হিরো আলমের স্বাক্ষরিত মুচলেকায় লেখা আছে, ‘আমি আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এই মর্মে একটি মুচলেকা দিচ্ছি যে আমি ভবিষ্যতে কোনো অশ্লীল কমেডি, অডিও-ভিডিও গান, সংস্কৃতি বা ভাষার বিকৃতি, কোনো নির্দিষ্ট পেশা বা পোশাকের অবমাননা বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করাসহ মানহানিকর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা থেকে বিরত থাকব।’
আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে উপরোক্ত সব ধরনের অডিও-ভিডিও বিষয়বস্তু নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলব বা নিজ উদ্যোগে অপসারণের ব্যবস্থা করব। ভবিষ্যতে, আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ বা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন দ্বারা নিষিদ্ধ কোনো অপরাধ করব না। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আমার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।’’
মুচলেকায় আরও বলা হয়, ‘ডিবি পুলিশের সমন অনুযায়ী যে কোনো সময়, যেকোনো শর্তে আমি ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বাধ্য থাকবো। ডিবি সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম ডিভিশন, অর্গানাইজড ক্রাইম-ইনভেস্টিগেশন টিম, ডিএমপি-ঢাকাকে মুচলেকা প্রদান করলাম এ ধরনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করব না। আমি সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, বিনা প্ররোচনায় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অত্র মুচলেকা প্রদান করলাম।’
মুচলেকায় মো. মাহবুব নামে একজনের স্বাক্ষর রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিনা অনুমতিতে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ঘুরে বেড়ানো এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতসহ সংস্কৃতি বিকৃত করার অভিযোগে হিরো আলমকে ২৭ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হয়। এর পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেযা হয় তাকে
প্রসঙ্গত, তার গানের ভাষাসহ বিকৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এবং মুচলেকায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে মুচলেকায় লিখিত বিষয়গুলো তাকে মেনে চলার কথা বলা হয়।