দেশের নাট্যজগতের জনপ্রিয় তারকা অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী এ পর্যন্ত বহু সংখ্যক নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকেরা থামিয়ে দেয় চ্যানেল বদলানো। এই অভিনেত্রীর বছরের বেশির ভাগ সময় কাটে শুটিংয়ের কাজে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন চরিত্রে বেশ সুনিপুন অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে মেহজাবিনকে দেখা যায় রোমান্টিক গল্প আর মিষ্টি প্রেমের কাহিনী রয়েছে এমন ধরনের নাটকগুলোতে। গত কয়েক বছর ধরে মনে হয় তার এমনটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে!
গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতের দিকে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মেহজাবিন লিখেছেন, “প্রিয় সহকর্মী ও পরিচালকবৃন্দ, আগামী দুই মাস সব ধরনের নাটকের শুটিং থেকে বিরত থাকব। আশা করি আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আবারও ভ্যালেন্টাইনের কাজ শুরু করতে পারব।
কাজের অতৃপ্তি থেকেই এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই নাট্যাঙ্গন আমার আপন জায়গা। এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। কাউকে অসম্মান করে বলছি না। বেশ কিছুদিন ধরে যে ধরনের চিত্রনাট্য হাতে আসছে, যে ধরনের কাজ আসছে, সেগুলো খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না। এ সময়ে এসে এখন গুছিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। আমার কাজের প্রেশার আছে। কমাতে চাই। আগামী ভ্যালেন্টাইনের কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। এ কারণে লিখেছি, আগামী দুই মাস কাজ করব না।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বছরে একটা চিরকাল আজ বা পুনর্জন্ম-এর মতো চিত্রনাট্যে কাজ করার সুযোগ পাই। এ ধরনের কাজ পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। সত্যি বলতে কী, বছরে অন্তত পাঁচটি দুর্দান্ত কাজ করতে চাই। যে কাজগুলো দেখে মানুষ পথেঘাটে আলোচনা করবেন, প্রশংসা করবেন। কিন্তু চাইলেও তেমনটি হচ্ছে না। আবার ভালো কাজ যে একেবারেই হচ্ছে না, তা তো নয়। তবে এখনো নিয়মিত ভালো চিত্রনাট্যের ঘাটতি রয়ে গেছে।’
মেহজাবিন একজন পেশাদার শিল্পী। আর তাই পছন্দের বাইরেও কিছু চিত্রনাট্যে কাজ করতে হয়েছে তাকে। মেহজাবিনের কথায়, ‘অনেক সময় যখন ভালো চিত্রনাট্য পাই না বলে কাজ কম করি, সেই সময় আমার যারা পরিচালক, সহশিল্পী তাদের মিস করতে শুরু করি। আমি এখনে তো আর শখের বশে কাজ করি না। শখ করে যদি কাজের মান না দেখে কাজ করি তাহলে তো অভিনেত্রী হতে পারব না। আমি একজন পেশাদার শিল্পী। সেই হিসাবে, আমার কোনো কাজ পছন্দ না হলেও তার বাইরে কিছু করতে হয়। ‘
তিনি বলেন, আমরা আরও ভালো মানের কাজ চাই এবং সেগুলো পেলে অবশ্যই করতে চাই। এর জন্য অবশ্যই দরকার শিল্পী, পরিচালক, নাট্যকার ও প্রযোজকদের মধ্যে একটি সুষম সমন্বয়। সকলের জায়গা হতে সমন্বিত পরিকল্পনা মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। সব মিলিয়ে ভালো কাজ করলে ভালো কাজের কোনো কমতি নেই।’