দেশের মাঠে অর্থাৎ শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর এই ম্যাচ আরম্ভ হওয়ার কিছু সময় পরেই খবর আসে সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের নিকট, মুশফিককে তলব করেছে বিসিবি। পাকিস্তান দলের সাথে এই সিরিজটিত মুশফিককে ‘বিশ্রামে রাখার জন্য বাইরে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক। এদিকে গণমাধ্যমে মুশফিকুর রহিম বলেছেন, তাকে বিশ্রামে নয় বাদ দিয়ে রাখা হয়েছে! গণমাধ্যমে বোর্ড ও নির্বাচকদের বিষয়ে সমালোচনা করার পর মুশফিককে বিসিবি কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। গণমাধ্যমে তাকে এ কথা বলার কারণ জানতে চাওয়া হয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ সদস্যের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার পর মুশফিক দেশের একটি নামকরা সংবাদ মাধ্যমসহ একাধিক মিডিয়ার কাছে নিজের ক্ষো’/ভ প্রকাশ করেন। তার দাবি, টি-টোয়েন্টি দল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। তিনি নিজে থেকে বিশ্রামও চাননি। তাছাড়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচকেরা আলোচনা করেন না, পরিস্কার করে কিছু বলেন না- এসব অভিযোগও তোলেন মুশফিক। এর প্রেক্ষিতে বিসিবি মনে করছে, মুশফিক আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে তল’ব করা হয়।
ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খানের কক্ষে জবাবদিহি করতে হয় মুশফিককে। শু’নানিতে উপস্থিতি ছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। মুশফিকের বক্তব্য শোনার পর তাকে মিডিয়ায় কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। শুনানি থেকে বেরিয়ে মুশফিক চলে যান চট্টগ্রামে টেস্ট দলের অনুশীলনে যোগ দিতে। আর গণমাধ্যমকে আকরাম খান বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাকে সব বুঝিয়ে বলা হয়েছে এবং টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার মাত্র একদিন পর, মুশফিকুর রহিম তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এমন দাবির বিরো’ধিতা করেছেন। মুশফিকুর বলেছিলেন যে, তার “বিশ্রামের প্রয়োজন নেই” এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিল যে সে উপলব্ধ ছিল, কিন্তু তারা তাকে বাদ দেওয়ার সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুশফিকুর বলেন, “সত্যি বলতে আমি সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি যখন আমাকে কাউকে বলতে হবে যে আমার বিশ্রাম দরকার।” “আমি অবশ্যই উপলব্ধ। কেন আমি থাকব না? আমার অবশ্যই বিশ্বকাপে ভালো পারফর্মেন্স ছিল না। আমার বাউন্স ব্যাক করার সুযোগ দরকার ছিল।