সমগ্র বিশ্ববাসী প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে ভাইরাস ভীতির মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। এতে করে বিশ্বের ধনী-গরীব সকল দেশই নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্যে সংকট। এমনকি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্যে দ্রব্যের দাম। এই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটিতে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে তিন দশকের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি তিন দশকের মধ্যে রেকর্ড ছুঁয়েছে। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতারা যেমন হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির গাড়ি নির্মাণকারী ও কৃষকরা। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে কৃষিখাতেও।
সুপারস্টোরগুলোর চেয়ে দাম কম হওয়ায় সাধারণত ফার্মার্স মার্কেটগুলোতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনাকাটা করেন অনেকে। কিন্তু ফসলের বীজের দাম ও খাদ্যপণ্য পরিবহণের খরচ বৃদ্ধির কারণে ব্যয় বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। এসব কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
দেশটির কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানায়, বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই ব্যবসা চাপের মুখে। সেইসঙ্গে গ্যাসের দামও বেড়েছে। আমার ছোট ব্যবসা। পরিস্থিতি এমন যে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শিশুদের জুতার মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১২ শতাংশ দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনও একটি কারণ দায়ী নয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এই হার অব্যাহত থাকলে, সংকটে পড়বেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক ও উৎপাদনকারীরা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম লাগামহীন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে দূর্ভূগে পড়েছে দেশের জন সাধারন। তবে চলমান খাদ্যে দ্রব্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে বিশ্বের সকল দেশই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এই সংকট নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।