এবার কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুর কবলে আরেক জাহাজ

কক্সবাজারে এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩ নামের একটি জাহাজে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে সিমেন্ট ক্লিঙ্কারবাহী জাহাজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় মামলা হয়েছে। ঘনাটি মিডায়র সামনে আসে যখন আমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা আটক করে।

যাইহোক, মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩ কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে নোঙর করে। পরদিন রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বড় একটি ফিশিং ট্রলার যোগে দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠে মুখোশধারী ২৫-৩০ জন ডাকাত। এ সময় জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে স্মার্ট ফোন, নগদ টাকা, ব্যাটারি, ইঞ্জিন- রাডার-ইকোসাউন্ডের মনিটর, জিপিএস, সোলার প্যানেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুখোশধারী ডাকাতদের চিহ্নিত করা না গেলেও সকলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন।

মঙ্গলবার এ ঘটনায় আকিজ শিপিং লাইন লিমিটেডের অপারেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবির সাগরে জাহাজ ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাগরে অপরাধ নির্মূলের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় আমাদের সীমান্তের কোনো জলদস্যু জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কোন জিম্মি জাহাজ উদ্ধার করল ভারতীয় নৌ বাহিনী? যা জানা গেল

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি জলদস্যুরা। আজ জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তথ্য সঠিক নয়।

ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রুয়েন নামের একটি মাল্টিজ পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ জিম্মি করা হয়েছিল।

সেই জাহাজটি আটকে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তাদের আত্মসমপর্ণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় জাহাজে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে।

ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে বলা হয়েছে ‘ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী’।

তবে এ বিষয়ে তারা সংবাদে কোনো তথ্য না দিলেও সংবাদে তারা জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজকে জরুরি সহায়তার অনুরোধে ভারতীয় নৌবাহিনী সাড়া দিয়েছে। তবে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করতে আগে থেকে জিম্মি কার্গো জাহাজ রুয়েন ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এছাড়া ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল। ফলে তাদের ধারণা, মাল্টিজ জাহাজ রুয়েনকে জলদস্যুরা ছিনতাইয়ের কাজে মাদার ভ্যাসেল হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও একজন বাদে ওই জাহাজের ১৬ নাবিক এখনো জিম্মি আছেন।