বর্তমান সময়ে দেশের পরিবহন সেক্টরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। মূলত ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ জুড়ে এমন পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি একবারে লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবার এই তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে এটাই শেষ নয়, খাদ আরও গভীর। আমরা পেট্রল, ডিজেল বা ওই সব তৈরি করি না। যারা করে, যারা মূল মহাজন তারা যখন দাম বাড়ায় তখন আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে দাম বাড়লে চাপ ভোক্তাদের ওপরই আসে। কাউকে না কাউকে দাম দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘সরকার এখনো ভর্তুকি দিচ্ছে। এটাও জনগণেরই টাকা। জনগণের ব্যথা যাতে কমে সেই চেষ্টা করবে সরকার। ধর্মঘট করে এর সমাধান হবে না বসে আলোচনা করে এর সমাধান খুঁজতে হবে।’ সুনামগঞ্জে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ ছাড়া সমবায় দিবসের অনুষ্টানে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, সমবায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর একটা আবেগের জায়গা ছিল, স্বপ্ন ছিল। সমবায় হলো মিলেমিশে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন। ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি আন্তরিক। মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। তিনিই আমাদের ভরসার জায়গা।’
ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ জুড়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিকেরা। তারা জানিয়েছে হয় ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম কমাতে হবে না হয় ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। এদিকে সরকারী ভাবে এই দাম বৃদ্ধির কারন হিসেবে বলা হয়েছে আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথেই সমন্বয় করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।