বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে জনগনের ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার প্রধান গঠিত হয়ে থাকে। এবং দেশের এই নির্বাচন কার্যক্রম নিবাচন কমিশন পরিচালনা করে থাকে। জেলা-উপজেলা সকল পর্যায়ের ভোটের কার্যক্রম এই নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে থাকে। সম্প্রতি এই কমিশন গঠনে নতুন আইন প্রসঙ্গে রিটের আবেদন করা হয়েছিল। আজ আদালত এই আইন খারিজ করে দিয়েছে এবং জানালো কারন।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নিবন্ধনভুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম রিটটি দায়ের করেন। আইন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়।
অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, “এর আগে ‘নির্বাচন কমিশন আইন ২০২১’ এর খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু চিঠি দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।” এ আইনজীবী বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনটি কেমন তা সংবিধানের সপ্তম ভাগে বলা আছে।’ এদিকে গত ৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়ে দিয়েছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সদস্য নিয়োগ হবে। আনিসুল হক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও সময় স্বল্পতার কারণে আইন করারও সুযোগ নেই। বিকল্প উপায় ভাবার সুযোগ নেই।’ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’
সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারা নানা ভাবে সমালোচিত। এরই লক্ষ্যে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি তুলেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। অবশ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রধান জানিয়েছে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।