হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, ইরানে জন্মহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে যে নতুন আইন প্রনয়ন করেছে সেটা মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস হ্রাস করে মহিলাদের জীবনকে ঝুঁ’কির দিকে ঠেলে দিয়েছে যার কারনে অধিকাংশ নারী মাতৃ পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যহানীকর অবস্থায় পড়তে পারে।
চলমান মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে বিলটি আইনে রুপান্তরিত হবে বলে ধারনা করছে সেখানকার আইন বিশারদেরা। আইনে রাখা হয়েছে যদি গর্ভাবস্থায় যদি কোনো নারী স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁ’কিতে পড়ে তাহলে শি’/শুসহ পরিবারে অন্য যে সকল সদস্য রয়েছেন তাদের জন্য বিভিন্ন বাড়তি সুযোগ সুবিধা এবং জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাকরনের ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী কিংবা ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে। খবর ভয়েস অফ আমেরিকার।
এইচআরডব্লিউয়ের ইরান বিষয়ক সিনিয়র গবেষক তারা সেপেহরি ফার বলেছেন, ইরানি আইনপ্রণেতারা দেশটির জন্য অধিক গু’রুতর সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপরন্তু, এর পরিবর্তে নারীদের মৌলিক অধিকারের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইন স্পষ্টভাবে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকার, মর্যাদা এবং স্বাস্থ্যকে ক্ষুণ্ন করবে। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং তথ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।
গত এক দশকে নারীদের গোপন বিষয়ের ও প্র’জনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইরান জনসংখ্যা নীতিকে পরিবার পরিকল্পনা এবং গ’র্ভনিরো’ধক অধিকার প্রদান থেকে বঞ্চিত করেছে।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার মতে, গ’র্ভনি’/রোধক এবং গ’র্ভপাতের অ্যাক্সেসের বিদ্যমান সীমাগুলি যোগ করে, আইনটি নারীদের গোপন বিষয়ের ও প্র’জ’নন স্বাস্থ্যের ওপর মহিলাদের অধিকার ল’/ঙ্ঘন করে এবং মহিলাদের স্বাস্থ্য ও জীবনকে ঝুঁ’কির মধ্যে ফেলে। বর্তমানে, গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে ইরানে বৈধভাবে গ’র্ভপা/ত করা যেতে পারে যদি তিনজন ডাক্তার সম্মত হন যে গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জীবনকে হু’/মকির সম্মুখীন করে বা ভ্রূ’/ণের গু’রুতর শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা রয়েছে যা মায়ের জন্য চ’রম কষ্টের সৃষ্টি করবে।