সম্প্রতি গত শনিবার (০২ অক্টোবর) মাদক-কাণ্ডের অভিযোগে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করে
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এদিকে ইতিমধ্যে আরিয়ানের জামিনের চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলেও, শেষমেষ এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আদালত। জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) পর্যন্ত আরিয়ান এনসিবির হেফাজতে থাকতে হবে।
এদিকে একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয় আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার। কিন্তু আদালত এ আবেদনেও সাড়া দেননি। সোমবার (০৪ অক্টোবর) তাদের আদালতে তোলা হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ান ও আরবাজকে জেরা করে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের হদিশ মিলতে পারে- এমনটাই মনে করছে এনসিবি। সেই কারণেই তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল এনসিবি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
সোমবার রাতে আরবাজকে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় এনসিবি। মঙ্গলবার আরিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাবে সংস্থাটি। এমনকি, তল্লাশি হতে পারে শাহরুখ খানের বাংলো মান্নাতেও। আইনি মতেই যেকোনো অভিযুক্তের বাড়ি তল্লাশি চালাতে পারে এনসিবি। সেই সূত্রেই মান্নাতে হানা দিতে পারে এনসিবি।
যদিও আরিয়ানের আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেলের কাছ থেকে কোনো ধরনের মাদকই পায়নি এনসিবির কর্তারা। অন্যদিকে, জেরার মুখে আরিয়ান কান্নায় ভেঙে পড়লেও এনসিবিকে তিনি সবরকমের সাহায্য করছে।
এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, শনিবার মাদক পার্টি থেকে আটক হওয়া আটজনের মধ্যে থেকে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারর করা হয়েছে। এছাড়া মুম্বাইয়ের এই মামলায় আরও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর থেকে বেশি তথ্য শেয়ার করতে নারাজ তিনি।
এদিকে, সোমবার ছেলের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন গৌরী খান। তার আগে রবিবার এক দিনের জন্য আরিয়ানকে এনসিবির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার আদালতের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের কারণেই তাদেরকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় এনসিবি।
এদিন সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়, তদন্তের জন্যই আরিয়ানসহ গ্রেপ্তারকৃতদের হেফাজতে রাখা জরুরি। আরিয়ান খানের ফোন থেকে তার বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে আদালতে দাবি করে এনসিবি। আরিয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগ রয়েছে বলেও জানায় তারা।
পাশাপাশি এদিন আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে এনসিবির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা গেছে, একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস ১৯৮৫ আইনের ৮সি, ২৭, ২২ নম্বর ধারা, এছাড়া এমডিএমএ ও এক্সট্যাসি আইনের অন্তর্গত ১৪(১), ১৪ (বি), ২০(বি) ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে।
ছেলে আরিয়ানের কারনে রীতিমতো নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলিউড বাদশাহকে। তবে কঠিন এই বিপদের দিনে বলিউডকে পাশে পেয়েছেন তিনি।
এদিকে মাদক-কাণ্ডের অভিযোগে শাহরুখ পুত্রের গ্রেপ্তারের খবরের পরপরই রীতিমতো আলোচনায় আসেন আরিয়ানের বান্ধবী মুনমুন। জানা গেছে, এরই মধ্যে তাকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আয়তায় আনা হচ্ছে।