দীর্ঘদিনের ভালোবাসার মানুষের সাথে ঘর বাঁধতে না পরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ফারহান আহম্মেদ সাকিব নামে এক যুবক। জানা যায়, তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার মৃত্যুতে রীতিমতো পরিবার-স্বজনদের মাঝে নেমে শোকের ছায়া।
শুক্রবার রাত ৮টায় ছাত্রলীগের এ নেতা বিষপান করেন। পরে গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিবের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
মৃত সাকিব মিয়া আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে। সে আড়াইহাজার উপজেলার হাবিব বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় ফজুল মিয়া বাদী হয়ে প্ররোচণার অভিযোগ এনে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবাইয়ের আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাকিবের। প্রেমের সম্পর্ক মেয়ের পরিবার মেনে না নেওয়ায় দুইজন পালিয়ে বিয়ে করে। পরে মেয়ের বাবা তাদের খুঁজে বের করে তার মেয়েকে নিয়ে যায় এবং বাধ্য করে সাকিবকে তালাক দেওয়ার জন্য। মেয়ে সাকিবকে তালাক দিয়ে দেয়।
পুলিশ আরও জানায়, গত কয়েকদিন আগে ওই মেয়েকে তার বাবা অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপর থেকেই হতাশ হয়ে পড়ে সাকিব। শুক্রবার রাতে ফারহান আহম্মেদ সাকিব নামে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয় ‘আমি মরে গেলে দুই তিন দিন পর সবাই আমাকে ভুলে যাবে। কিন্তু আমি প্রতিটা দিন থাকবো আমার মায়ের মোনাজাতে’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ স্ট্যাটাসটি শেয়ার করার কিছুক্ষণ পরেই বিষপান করেন ঐ ছাত্রলীগ নেতা। তবে ততক্ষনাত বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধারকরে নিকস্থ একটি হাসপতালে নিয়ে যায় আত্মীয়রা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত শেষ রক্ষা হলো না তার। হাসপাতালে নিতেই দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।