আমার শুধু অনন্ত’র জন্য কষ্ট হচ্ছিল: তসলিমা নাসরিন

লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে ব্যক্তিগত বিষয়সহ নানা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা যায়। যদিও বিশেষ করে ধর্ম বিষয়ে নানা বিতর্কে জড়িয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তবে এবার এসিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ছেলেকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় এসেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটসটি হুবহু নিচে দেওয়া হলো।

আম্বানির রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে হরেক রকম লোক এসেছিল তাদের হরেক রকম ঝলমলে পোশাক আর হরেক রকম হীরে পান্না মণি মুক্তো দেখাতে। তাদের কথা বলছি না। সমস্ত আনন্দ আর উৎসবের মধ্যে আমার শুধু অনন্ত’র জন্য কষ্ট হচ্ছিল। না, সে কিভাবে সে*ক্স করবে, সে কথা ভেবে নয়। কষ্ট হচ্ছিল, এত বাজনা এত গান তার চারদিকে, অল্প বয়স, তার তো নাচতে ইচ্ছে করবেই, কিন্তু সে ভাল নাচতে পারছিল না, সে কারণে হাতদুটো ঝাঁকাচ্ছিল। এই নাচের ভিডিও দেখে কেউ কেউ হাসছিল। আমি হাসিনি। আমি অনন্তর জায়গায় হলে হয়তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতাম। নাচার চেষ্টা করতাম না। অনন্তর জায়গায় হলে জাস্টিন বিবারকে বলতাম, বাপু এই পোশাক চলবে না, তোমার বক্সার আমরা অনেক দেখেছি, এইবার ডিসেন্ট পোশাক পরে, কিছু যদি না পরতে চাও ওকে, টাট্টু দেখাও, কিন্তু গানটা গাও, হেঁড়ে গলার অডিয়েন্সকে দিয়ে পুরোটা না গাইয়ে নিজে গাও।


রূপালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত সেই ৬ জনকে যে সাজা দিলো আদালত

বগুড়ার মহাস্থানে রূপালী ব্যাংকের ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শাখা ব্যবস্থাপক জোবায়নুরকে ২৭ বছর ও বাকি ৫ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার (১৪ জুলাই) বগুড়া বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল হক খোলা আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

8 ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, বগুড়া সদর থানায় রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম সরদার মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক জোওয়ানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখা ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কোনো টাকা না থাকা সত্ত্বেও মহাস্থান হাটের ইজারাদার আজমল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার পেমেন্ট অর্ডার দেওয়া হয়। শিবগঞ্জ ইউএনও-র অনুকূলে দেয়া সেসব পে-অর্ডারের বিপরীতে পরবর্তী সময়ে ব্যাংক পুরো অর্থ পরিশোধ করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

সর্বশেষ মামলার রায়ে রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা ইশরাত জাহানকে ৫ বছর ও মাহাতাব হোসেনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া পে-অর্ডার গ্রহণকারী ব্যবসায়ী আজমল হোসেন, জাহিদুর রহমান ও মোশাররফ হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যাংক থেকে আত্মসাতের পুরো টাকা আসামিদের কাছে ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।