অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই

নন্দিত অভিনেতা প্রবীর মিত্র আর নেই। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফুসফুসের জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্রবীর মিত্রের ছেলে মিথুন মিত্র জানিয়েছিলেন, তার বাবাকে গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফুসফুসে জটিলতা ধরা পড়ে, যার ফলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠা এই অভিনেতা ছোটবেলা থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুলজীবনে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘ডাকঘর’-এ অভিনয় করেন, যা তার অভিনয় জীবনের সূচনা।

১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে প্রবীর মিত্রের রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটে, যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও পরে তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা পান। তার দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে তার অসাধারণ অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’-তে ভূষিত হন। তবে এ অভিনেতা একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক পাননি।

সবশেষ তাকে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ সিনেমায় দেখা গেছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি হলো।

প্রবীর মিত্র তার অভিনয় দক্ষতা ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।


৫০ বছরের সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন মেজর ডালিম, ভিডিওসহ

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশেষ লাইভে যুক্ত হন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)। “বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)” শিরোনামের এই আলোচনা মুহূর্তেই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

লাইভে মেজর ডালিম বলেন, “মুজিব মারা যায়নি, বরং তিনি একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। বাকশালের পতনের পর কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে শুকরিয়া আদায় করেছিল।”

তিনি আরও দাবি করেন, “শেখ মুজিব তার শাসনামলে এমন স্বৈরাচারী আচরণ করেছিলেন যে, সাধারণ মানুষ তার জুলুম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিল।”

মেজর ডালিম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে যায় এবং নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে, তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে ছিলাম। মেজর জিয়ার সেই ঘোষণার পর মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ি।”

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় মেজর ডালিমের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এই লাইভে মেজর ডালিম মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং তার নিজের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলেন। ভিডিওটি নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।