দেশের রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে অব হেলিত এবং নির্যাতিত বিএনপি দল। এই দলটি অবশ্যে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করেছে। তবে পরপর টানা তিন মেয়াদে এই দলটি ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এবং এই দলের অসংখ্য নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত। প্রায় সময় নান ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের মামলার শিকার হচ্ছে এই দলের নেতাকর্মীরা। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রয়েছে এই দলের বেশ কয়েকজন নেতার নামে। তবে সম্প্রতি এই দলের চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপির তিন নেতা। রোববার সকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন করলে বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন দেন। জামিন পাওয়া তিন নেতা হলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। তিনিই রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলাটির বাদী। তিন নেতার আইনজীবী আবদুল মালেক রানার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন দেন। শুনানিতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদীসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী অংশ নেন।
জামিন পাওয়ার পর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ। সেই তারিখ পর্যন্ত আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন। পরবর্তী তারিখে আবার জামিনের আবেদন করতে হবে। গত ২ মার্চ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সরকারবিরোধী বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হ/ত্যা/র হু/ম/কি এবং সরকার উৎখাতের হু/ম/কি/র অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে প্রায় ছয় মাস পর গত ২৫ আগস্ট মিনু, বুলবুল ও মিলন উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। উচ্চ আদালত সেদিন তাদের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এই তিন নেতা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। তবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নথি না আসার কারণে সেদিন শুনানি হয়নি। সেদিন শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছিলেন আদালত। এ দিন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে আদালতে যান ওই তিন নেতা। শুনানি শেষে তারা জামিনও পেলেন।
রাজনৈতিক মাঠে জাতীয়তাবাদী রাআজনৈতিক দল বিএনপি সংকীর্ন হয়ে পরেছে। তবে দলটি পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে ক্ষমতায় আরোহনের জন্য আপ্রান ভাবে চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে এই দলটি চলমান সকল সংকট মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।