Sunday , December 15 2024
Breaking News
Home / Entertainment / অবশেষে ফকির আলমগীরের ইচ্ছা পূরণ করলেন মেয়র আতিকুল

অবশেষে ফকির আলমগীরের ইচ্ছা পূরণ করলেন মেয়র আতিকুল

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম একজন ফকির আলমগীর। তিনি ষাটের দশক থেকে সংগীত অঙ্গনের সাথে কাজ করেছেন। গানের পাশাপাশি বংশীবাদক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি ছিল। বাংলাদেশের সকল ধরেনর ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। এই জনপ্রিয় শিল্পী ২০২১ সালের ২৩ জুলাই ৭১ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সম্প্রতি তার একটি শেষ ইচ্ছাপূরন করলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

নিজের নামে একটি সড়কের নামকরণ হোক—এমনটাই চেয়েছিলেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। মৃ/ত্যু/র কয়েক মাস আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আলাপে আলাপে এমন একটি ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন শিল্পী। কিন্তু করোনার কারণে দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকায় জীবিত অবস্থায় তা দেখে যেতে পারেননি এই সংগীতশিল্পী। মৃ/ত্যু/র দুই মাসের মাথায় সিটি করপোরেশন বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফকির আলমগীরের নামে একটি সড়কের নাম করেছে। ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার ৬ নম্বর সড়কটি মুক্তিযোদ্ধা ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের নামে রাখা হয়েছে। এই সড়কেই ফকির আলমগীরের বাসা। গতকাল রোববার গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের অষ্টম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। আতিকুল ইসলাম জানান, শুধু নামকরণ নয়, সড়কে একটি ফলকও থাকবে, সেখানে একনজরে ফকির আলমগীর সম্পর্কে জানতে পারবেন পথচারীরা।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফকির আলমগীর গান গেয়ে দেশের মানুষের মনে প্রাণের সঞ্চার করতেন। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল চোখে পড়ার মতো। মা/রা যাওয়ার আগে তিনি একবার আমার কাছে এসেছিলেন, এ ধরনের একটি অনুরোধও করেন। আমিও তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলাম, বোর্ড সভায় আপনার প্রস্তাব আমরা ওঠাব। করোনার কারণে বোর্ড সভা বারবার পিছিয়ে যায়। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চালু হওয়ার পর প্রথম বোর্ড সভায় আমরা ফকির আলমগীরের নামে সড়কের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে এবং উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি তিনি উনসত্তরের গণ–অভ্যুথান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচার শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তাঁর গান নিয়ে। তিনি তার জীবদ্দশায় অসংখ্য গনা করেছেন। এমনকি তিনি তার গানের মধ্যে দিয়ে পেয়েছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেশ কয়েকটি সম্মানজনক পুরষ্কারও পেয়েছেন।

About

Check Also

হাসিনাকে মা ডেকে জমি পায়নি, এবার ড. ইউনূস’কে বাবা ডাকতে রাজি জয়

মা সবসময় সন্তানের আবদার পূরণ করে থাকেন। কখনও সন্তানকে ফিরিয়ে দেন না। এ জন্যই আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *