সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ে দেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাজনৈতিক দল। তবে দেশ জুড়ে প্রথম সারির এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে আওয়ামীলীগ-বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি। তবে বর্তমান সময়ে আরও বেশ কয়েক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ড. রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে এই দলের ইঙ্গিত করে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাদের যেন কোনো রকম বাধা দেওয়া না হয়।’ শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। কোনো দলের নাম উচ্চারণ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত আমরা ভাল কাজ করি, সেখানে একটা বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা সব সময় এদের আছে। এটা বিএনপি জামায়াতই সব থেকে বেশি সক্রিয়। আবার এখন নতুন কিছু গজাচ্ছে। সেটা গজাক।’ নতুন দলকে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কালকেও আইজিপিকে বলেছি যারা নতুন পার্টি করতে চাচ্ছে তাদের পার্টি করতে দেওয়া উচিত এবং তারা দল করুক, তারা কাজ করুক। কারণ বাংলাদেশে দরকার আছে? যে যত দল করতে চায় করতে পারে।’ ‘এখানে বহু দলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। কাজেই এখানে যেন কোনো রকম বাধা দেওয়া না হয়। মিছিল করতে চাচ্ছে, মিছিল করুক। মিছিলে আমরা বাধা দেবো কেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের যত রকম আন্দোলন আছে করুক। কিন্তু মানুষ পু/ড়ি/য়ে মা/র/তে পারবে না, কোনো জানমালের ক্ষতি করতে পারবে না, সেটা আমাদের দেখতে হবে, যেন কোনো জিনিসের ক্ষতি করতে না পারে।’ গত ২৬ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব নুরুল হক নূর। দলটির আহ্বায়ক কমিটিতে ১০১ জন সদস্য রয়েছেন। রেজা কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রে/নে/ড হা/ম/লা/য় নি/হ/ত আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে। শাহ এএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে রেজা কিবরিয়া ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগদান করেন। সেই নির্বাচনে ড. রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। পরে ২০১৯ সালে তিনি তাকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গেল ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি গণফোরাম ছাড়ার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে পরিচিতি পান নুরুল হক নূর। পরে তিনি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।
দেশ জুড়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল থাকলেও আওয়ামীলীগ-বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকেই দেশের সরকার গঠিত হয়ে থাকে। তবে গত কয়েক দশসক ধরে আওয়ামীলীগ-বিএনপি এই দুটি দল থেকেই দেশের সরকার নির্বাচিত হয়ে আসছে। এবং বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল।