Thursday , October 24 2024
Home / International / সাদা ফেনায় ঢেকে গেছে যমুনা নদী, কারন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা (ভিডিও)

সাদা ফেনায় ঢেকে গেছে যমুনা নদী, কারন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা (ভিডিও)

ভারতের দিল্লির অংশের যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে ভয়ানক এক দৃশ্য। দূষণ দেখা দেওয়ায় বদলে গেছে নদীর চিত্র। ভারতীয় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে নদীটিতে পানির উপরে সাদা ফেনায় ঢেকে গেছে। প্রতিবেদটিতে বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছট পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১ম দিনে গত সোমবার যমুনার এমন ধরনের দূষিত পানিতে পবিত্র স্নান করেন পূজারীরা। পূজারীরা যমুনা নদীর পানিকে পবিত্র হিসেবে মনে করে থাকেন।

ভারতের বিহার ও ঝাড়খন্ডের উত্তর প্রদেশের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত যমুনা নদীর তীরে জড়ো হয়েছেন চার দিনব্যাপী যমুনার উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য। সুস্থতা এবং পূন্য লাভ করার আশায় তারা যমুনা নদীর পানিতে স্নান করে থাকেন। কিন্তু ছটপুজোয় অংশ নেওয়ার জন্য প্রথম দিনেই দূষিত জলে স্নান করতে দেখা গেছে সেখানে আগত ভক্তদের।

দূষিত পানিতে স্নান করার ফলে চর্মরোগের আ’/শ’ঙ্কায় ক্ষো’/ভ প্রকাশ করেছেন পুণ্যার্থীরা। যমুনার দূষণ নিয়ে উ’দ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরাও। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, দূষণের কারণে যমুনায় পানিই চোখে পড়ছে না, শুধু বিশাল আকারের সাদা ফেনা ভাসতে দেখা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরিবেশকর্মীরা জানান, যমুনার পানিতে অ্যামোনিয়া ও ফসফেটের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ যমুনা নদীর পানিতে অত্যধিক পরিমাণে মিশে যাওয়ার ফলেই দূষণ মা’/রা’ত্ম’/ক আকার ধারণ করেছে। সেই কারণেই এরকম ফেনা দেখা যাচ্ছে।

নদীর পানির দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় অ্যামোনিয়া দিয়ে। শনি ও রবিবার যমুনায় অ্যামোনিয়ার মাত্রা ছিল দুই দশমিক দুই পিপিএম। দীপাবলির আগে দিল্লিতে বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এবার ছটপূজার সময় যমুনাতেও দূষণ ছড়াল বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে, ভারতের রাজধানীতে এর আগে অনুষ্ঠিত দীপাবলির মধ্যে পটকা নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে লঙ্ঘনের পরে দিল্লিও বিষাক্ত বাতাসে ছেয়ে গিয়েছিল। কয়েক দিন ধরে বিপুল পরিমানে পটকা বা বাজি পোড়ানোর তীব্র বায়ু দূষণ বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে দায়ী ছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) দিল্লিতে তৃতীয় দিনেও “গুরু’তর” আকার নেয় যার কারনে সেখানকার লোকেরা শ্বাসকষ্ট এবং চোখে চুলকানী দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা শহরের দূষণের মাত্রা নিয়ে উ’দ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারতের শহর এলাকার পাশের নদীগুলোতে যে পরিমান দূষন ঘটে থাকে সেটা মাঝে মাঝে এত তীব্রতা পায় যেটার কারনে মানুষের স্বাস্থ্যহানী ঘটতে দেখায় যায়।

About

Check Also

লুৎফুজ্জামান বাবরকে কেন ভয় পেত ভারত?

লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম আসামি, ভারতীয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *