Thursday , October 24 2024
Home / Countrywide / একবার টাকা জমা হয়ে গেলে, আর ফেরতের নাম নেই: প্রতারিত হয়ে ব্যারিস্টার সুমন

একবার টাকা জমা হয়ে গেলে, আর ফেরতের নাম নেই: প্রতারিত হয়ে ব্যারিস্টার সুমন

সুপ্রিম কোর্টের  আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক ( Saidul Haque ) সুমন প্রাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে বহুল পরিচিত একজন ব্যাক্তিত্ব। তিনি প্রায়ই সমাজের নানাবিদ অনিয়মের বিষয়ে তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমের লাইভে এসে এবং তার সমাধান মুলক আলোচনাও করে থাকেন সামাজিক যোগাযোগের লাইভের মাধ্যেমে। তবে এবার ব্যারিস্টার সুমন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স নামক একটি বীমা কম্পানির নামে প্রতারনার অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি তার নিজস্ব গাড়ির ইন্সুরেন্স থাকা সত্বেও ক্ষতিপুরন পাওয়ার বিষয়ে চরম বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে সামাজিক গনমাধ্যেম কর্মীদের জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।

গাড়ির বীমা করে প্রতারিত হয়েছেন সৈয়দ সাইদুল হক ( Saidul Haque ) সুমন। এজেন্ট নিজেই বীমার টাকা কোম্পানিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বীমা করেও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন সুমন। ব্যারিস্টার সুমন দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যেমে অভিযোগ করেন, তিনি এজেন্ট নিমাইয়ের মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকের ( Pubali Bank ) গুলশান শাখা থেকে ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়িটি কিনেছেন। তারপর নিয়মানুযায়ী ফার্স্ট পার্টি ইন্স্যুরেন্সের  জন্য এজেন্ট নিমাইকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এখন দেখছি এজেন্ট নিমাই ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বীমা করেছেন। বাকি ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

“আমি এক বছর আগে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের সাথে বীমা করি,” তিনি বলেছিলেন। ২২শে জানুয়ারি দুর্ঘটনায় আমার গাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গ্যারেজে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ভাউচার তৈরি করতে বলা হয়। পরের দিন কোম্পানির একটি দল গাড়ির ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তারা থানায় গিয়ে জিডি করতে বললে আমি জিডি করি। সুমন বলেন, “আমি ৭৩,০০০ টাকার ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে একটি বীমা দাবির জন্য আবেদন করেছি।” আবেদনের পর বীমা কোম্পানি বলছে যে তারা টাকা দিচ্ছে, কাজ চলছে ইত্যাদি। এরই মধ্যে গত ৬ মার্চ (রবিবার) কোম্পানি আমাকে ফোনে জানায় যে আমার বীমা দাবি যাচাই করা হয়েছে। কিন্তু এখন না। তবু বলছি- একটু সময় লাগবে, এই-ওটা।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি দুই মাস ধরে একজন আইনজীবী হয়েও কোম্পানির এক অফিস থেকে অন্য অফিসে চলেছি। কিন্তু বীমার টাকা পরিশোধ করছে না কোম্পানিটি। তাহলে সাধারণ মানুষকে কত হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতারণার বিষয়ে এজেন্ট নিমাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি প্রথমে কল রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোন ধরলে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন। এরপর তাকে আর কোনো ফোনে পাওয়া যায়নি বলে জানান সুমন। এ প্রসঙ্গে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার গাড়ির ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হবে। সংস্থাটি গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে বলেছিল যে এটি “যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।” এখন আমি জানি. অবিলম্বে দাবি করার ব্যবস্থা করেছি।

ক্ষতিপূরণে কত টাকা দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখনই বলতে চাই না। তবে সুমনের সহকর্মী জানান, প্রতিষ্ঠানটি ৪৫ হাজার টাকার চেক দিতে চায়। এদিকে, সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে, সাবেক যুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটিওয়াই) সাবেক রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এজেন্ট নিমাই কর্তৃক বীমা কোম্পানির প্রতারণা ও হয়রানির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমের লাইভ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেখানে বিশ্বের সব বীমা কোম্পানি দিন দিন বাড়ছে, সেখানে আমাদের দেশের বীমা কোম্পানিগুলো দুর্বল পারফরম্যান্সের স্টল বসিয়েছে। এগুলো নামমাত্র কোম্পানিতে পরিণত হচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ড এতটাই খারাপ যে এক সপ্তাহ আগে আমাকে কোম্পানি থেকে ফোন করে বলা হয়, আমার দাবি প্রস্তুত, আমি আসার সাথে সাথেই পেয়ে যাব। কিন্তু আট দিন পার হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ভালো কোনো সাড়া পাননি। বীমা মানে একবার টাকা জমা হলে আর ফেরত পাওয়া যায় না।ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমি কখনোই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলি না, তবে আমি মনে করি এই বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত। কারণ বীমার খপ্পরে পড়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, কোনো আইনজীবী এভাবে ভোগান্তিতে না পড়লে সাধারণ মানুষের অবস্থা তিনি বুঝতে পারবেন না। তিনি ফারইস্ট এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনায় হাজার হাজার কোটি টাকার অপব্যবহার করার বিষয়টিও উত্থাপন করেন। ব্যারিস্টার সুমন বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে বীমা কোম্পানিগুলোর নজরদারি বাড়াতে এবং গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, লন্ডনে বার অ্যাট ল শেষ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন। তার বার অ্যাট ল শেষ করার পর অনেকেই তাকে লন্ডনে খেকে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু দেশের প্রতি অকল্পনীয় ভালোবাসার অনুভূতির টানে নিজ দেশের জন্য ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসেন তিনি। তিনি সামাজিক গনমাধ্যমে সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ডের জন্য প্রায়াই লাইভ করে সমাজের অনিয়মগুলি জনগনের মাঝে তুলে ধরেন। এমনকি উক্ত সমস্যার সমাধানেরও যথাযথ চেষ্টাও করে থাকে। সামাজিক গমমাধ্যমে সমাজসেবি ব্যাক্তিত্ব হিসেবে বহুল আলোচিত এই ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন। তবে সম্প্রতি ব্যাক্তিগত এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে খোভ প্রকাশ করলেন ব্যারিস্টার সুমন। বীমা কম্পানিগুলোর বিভিন্ন অনিয়মের কথা সামাজিক গনমাধ্যেমে তুলে ধরেন তিনি। বীমা কম্পানিগুলো দেশের জনগনের সাথে প্রতারনামুলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সহ নানামূখী হয়রানির স্বিকারও করিয়ে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক গনমাধ্যেম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে।

About Syful Islam

Check Also

বাংলাদেশের কী লাগবে জানতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে অর্থ সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্ক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *