আফ্রিদি-সালমানের সঙ্গে নাম জড়ানো সেই আরশি খানই গ্রেফতার হয়েছিলেন দেহব্যবসার দায়ে

বলিউড সুপার স্টার অভিনেতা সালমান খানসহ পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির সঙ্গেও নাম জড়িয়ে একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন মডেল-অভিনেত্রী আরশি খান। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গত দুই বছরে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মূলত ভারতীয় টেলিভিশনে অভিনয়ে থাকেন।

তবে আপনি জানেনকি? আরশি কিন্তু ভারতে জন্মাননি। তিনি প্রকৃতপক্ষে আফগানিস্তানের মেয়ে। চার বছর বয়সে আফগানিস্তান থেকে মা-বাবার সঙ্গে ভারতে চলে আসেন আরশি খান। তারপর ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালেই তার বেড়ে ওঠা।

বিতর্কের কারণেই আরশির পরিচিতি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বার বারই নানা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আরশি। সেটাই যেন তার হাতিয়ার। তবে অনেকেই জানেন না, আরশি এক জন পেশাদার ফিজিওথেরাপিস্ট।

২০১৫ সালে পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে বিতর্কে জড়ান তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘আফ্রিদির সঙ্গে আমার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। কার শয্যাসঙ্গিনী হবো, সে ব্যাপারে ভারতীয় মিডিয়ার অনুমতি নিতে হবে নাকি? এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার কাছে সম্পর্কটা ছিল ভালবাসার।’

২০১৬ সালে টুইটে আরশি দাবি করেন, তার গর্ভে রয়েছে আফ্রিদির সন্তান। তিনি টুইট করেছিলেন, ‘প্রেমিক হিসাবে আফ্রিদি ১০০-তে ১০০ পাবে। বিছানাতেও দারুণ। আর মাত্র ছ’মাস। তার পর আমি আফ্রিদির সন্তানের জন্ম দেব।’ সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর এখনও অবশ্য শোনা যায়নি।

ক বার সালমান খানের জন্য নগ্ন হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে নিজের সাহসী ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিলেন। তাতে সালমানকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, ‘এটা আমার ডার্লিংয়ের জন্য।’ এছাড়া দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুণের একটি হোটেল থেকে আরশিকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও আরশির দাবি ছিল, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

প্রসঙ্গত, মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন আরশি খান। এরপর ‘দ্য লাস্ট এম্পেরর’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডে প্রথমবারের মতো পা রাখেন তিনি। এছাড়া একটি তামিল সিনেমায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তবে ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে একাধিকবারও আলোচনায় দেখা গেছে তাকে।