Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / International / আবারও বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘে বিচার চাইলো ভারত
United Nation

আবারও বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘে বিচার চাইলো ভারত

জাতিসংঘ (United Nation) বিশ্বের বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় একটি সংস্থা। বিভিন্ন দেশের নানা বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এই সংস্থার কাছে বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিচার চাইলো ভারত। অবশ্যে আগেও বহু বার ভারত এই বিচার চেয়েছে জাতিসংঘের কাছে।

ভারত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) (East Pakistan) পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংস গণহত্যার বিচার দাবি করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের” বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে ১৯৭১ গণহত্যা এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই (Mumbai) হামলা ২০২২ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম উন্মুক্ত বিতর্কে টিএস ত্রিমূর্তি বিচারের দাবি করেছে। “আমরা ইতিমধ্যেই শহুরে যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব দেখতে পাচ্ছি,” বলেছেন জাতিসংঘে ভারতীয় দূত। জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে সংঘর্ষে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরক ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের গুরুতর ক্ষতির উচ্চ ঝুঁকিতে রাখে। তিনি বলেন, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মানুষ যুদ্ধের তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করছে। ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মতো অতীতের গণহত্যার মতো সামরিক পদক্ষেপের পরিণতি এখনো ভোগ করছে আরও অনেক দেশ।

ইকোনমিক টাইমসের মতে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ হত্যার জন্য ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি (Pakistan) বাহিনীর বিচার চেয়েছে। বাংলাদেশের বারবার চেষ্টা সত্ত্বেও, পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তারা এখনও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়নি। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, টিএস ত্রিমূর্তি বলেছেন যে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সশস্ত্র সংঘাতের সমাধান করতে হবে। মুম্বাই হামলার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে, জাতিসংঘে ভারতীয় দূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা।

পাকিস্তান-ভারত দক্ষিন এশিয়ার অর্ন্তভূক্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তবে নানা ইস্যুকে ঘিরে প্রায় সময় এই দুই দেশ একে অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তবে বর্তমান সময়ে পাকিস্তান সরকার প্রতিবেশী ডেশ গুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক সস্থাপনে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ইতিমধ্যে তারা এক্ষেত্রে নানা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে।

About

Check Also

ট্রাম্পের নতুন নীতি: জন্মসূত্রে আর নয় মার্কিন নাগরিকত্ব

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়কে তার রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *