সম্প্রতি এফডিসিতে সম্পন্ন হলো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচন শেষ হতে না হতেই এমডির পদত্যাগের দাবি সোহান(Sohan) এর। নির্বাচনকে ঘিরে এত দিন চলছিল নানান ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচন শেষ হলেও সমালোচনা শেষ নেই। এবার উঠে এল আর ও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ জানালেন সোহান। সেইসাথে বলে দিয়েছেন এফডিসিতে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
এফডিসিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া ১৭টি সংগঠনের পক্ষে কথা বলছেন সোহানুর রহমান সোহান(Sohanur Rahman Sohan)। এফডিসিতে(FDC) আর শিল্পী সমিতির নির্বাচন(election of artist association) হতে পারে না। নির্বাচন করতে হলে এফডিসির বাইরে শিল্পী সমিতি করতে হবে। এফডিসিতে প্রবেশ বন্ধ থাকায় ১৭টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আজ (২৯ জানুয়ারি) পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন। তিনি আরও জানান, গতকাল (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমরা, পরিচালক, প্রযোজক এবং অন্যান্য টেকনিশিয়ান যারা আছেন, তাদের এফডিসির বাইরে থাকতে হবে। আমাদেরও অপমান করা হয়েছে। তাই এফডিসিতে কোনো ফ্রন্ট শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্ভব হবে না বলে ঘোষণা করছি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে হলে এফডিসির বাইরে থাকতে হবে। সোহানুর রহমান সোহান তখন এফডিসির এমডিকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা এফডিসি ও নির্বাচন কমিশনকে(Election Commission) জানিয়েছি। তবে তাতে কাজ হয়নি। আমাদের এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা এমডিকে(MD) অপসারণ করতে চাই। সব সংগঠন এমডিকে পুতুল বানিয়ে ‘এমডির অপসারণ চাই’ লিখবে।
সোহানুর রহমান সোহান আরও বলেন, এমডিকে সরানো না হলে এফডিসি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এফডিসিতে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। আগামীকাল কিছু সিনেমার কাজ আছে। সেগুলো শেষ হলে এফডিসি বন্ধ হয়ে যাবে। আগামীকাল থেকে এমডিকে এফডিসিতে ঢুকতে দেব না। সকাল ৯টায় এফডিসির গেটে ব্যারিকেড দেব।
তবে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত এফডিসি থেকে অফিশিয়াল কোন তথ্য বা প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে এফডিসির এমডি পদত্যাগ করে কিনা, বাসু খানের এমন মন্তব্যের উত্তরে কি জবাব দেয়।