গত ১৪ ফেব্রুয়ারী কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে ৬ টি বৈঠক করে আপাতত ১২ থেকে ১৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের একাটি তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন তাঁরা। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চূড়ান্তভাবে ১০ জনের নামের তালিকা জমা দেবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমরা চাইলে দেখা করতে পারি না। এর জন্য দুটি কারণ আছে।
একটি হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মুক্ত হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে, উনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন।
সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, নতুন আইনের আওতায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের পর এ পর্যন্ত আমরা নিজেদের মধ্যে ৬টি মিটিং করেছি। আরেকটি মিটিং বাকি আছে। ২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তম মিটিং করার মধ্য দিয়ে আপাতত আমাদের কাজ শেষ করতে পারব। এছাড়া চারটি মিটিং করেছি সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৩২২ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই নাম প্রকাশের পর চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের আমরা ডেকেছি। তারাও কিছু নাম দিয়ে গিয়েছেন। আমরা নাম জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়িয়েছিলাম। এরপরও বলেছিলাম, কেউ যদি বিশেষ করে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নাম দেয়, তাহলে সেই নামগুলোও বিবেচনায় নেব। সময় বাড়ানোর পর কিছু রাজনৈতিক সংগঠন নাম পাঠিয়েছে। সব নাম বিবেচনায় নিয়ে গত পঞ্চম সভায় ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়। সেখান থেকে ১২-১৩ জনের তালিকা করেছি।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।