অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে সম্পন্য হলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন(election of artist association)। রিয়াজের কান্নাটা(Riaz’s cry) কান্নাই থেকে গেলো, হাসিটা আর এলোনা। সম্প্রতি এই নির্বাচনী প্রচারণায় রিয়াজের কান্না আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল গণমাধ্যমে। অনেকেই ভেবেছিল যে এবার হয়তো রিয়াজ জিতে যাবে। তবে শেষমেশ কান্না কান্নাই রয়ে গেলো। জিততে পারলো না রিয়াজ হাসতে পারল না জেতার খুশি নিয়ে।
আলোচনায় ছিলেন অভিনেতা রিয়াজ(Riaz)। রিয়াজের কান্না দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চনের(Elias Kanchan) প্যানেল থেকে নির্বাচিত রিয়াজ বিজয়ের মালা পরতে পারেননি। সহ-সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রিয়াজ শুরু থেকেই আলোচনায় রয়েছেন। বিজ্ঞাপনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ সহযোগী সদস্যের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। একপর্যায়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিতে গিয়ে কেঁদে(cried) ফেলেন বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের অভিনেতা রিয়াজ। কিন্তু রিয়াজের কান্না হাসিতে পরিণত হয়নি। কো-চেয়ারের দুই পদেও জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান(Zayed Khan) প্যানেলের ডিপজল(Dipzol) ও রুবেল(Rubel)। রুবেল ও ডিপজল পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯১ ও ২১৯ ভোট। আর রিয়াজ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট। প্যানেলের অপর প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিএ তায়েব(DA Tayeb) পেয়েছেন ১১২ ভোট। সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়ী হয়েছেন। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৪টায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর(Misha Saudagar) পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। এছাড়া জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার(Nipun Akter) পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
যদিও নির্বাচন ছিল শিল্পী সমিতির তাই তো মানুষের মনে ছিল প্রশ্ন। তবে সব প্রশ্নের অবশেষে অবসান ঘটল। এতোটুকু বুঝা গেল নায়ক হিসেবে আগে যে জনপ্রিয়তা রিয়াজের ছিল এখন সেটা অনেকটাই কমে গেছে। কান্নাকাটি করে ও জিততে পারলো না রিয়াজ এমনটাই শোনা যাচ্ছে নেটিজেনদের মুখে।