বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের অন্যতম দাপটে অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি (Popy)। একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে খুব অল্প-সময়ের মধ্যেই কোটি দর্শকের মন জয় করে নেন তিনি। তবে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই পর্দা ও লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান তিনি।
গুঞ্জন ছিলো, বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ এর এই নায়িকা। এমনকি তার সন্তান হওয়ার খবরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( Social media) আসে।
বুধবার দুপুর থেকেই পপির (Popy) সাড়ে ৫ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তার ক্লিপ ছড়িয়ে যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু না বললেও আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন (Election of Bangladesh Film Artists Association) নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
পপি বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আজ অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলছি, আজ আমি কোথায়! আমি আছি তোমাদের মাঝে, হয়তো ভাগ্য থাকলে আবার ফিরে আসবো। ”
পপি বলেন, “বর্তমান শিল্পী সমিতির একটি মাত্র লোকের কারণে, তার রাজনীতির জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের অসহযোগিতার কারণে বারবার অপমানিত হয়েছি। শুধু আমিই নই, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস (Ferdous), পূর্ণিমা (Purnima) ও নিপুণরাও। অপমানও করা হয়েছে। এই চেয়ারে বসে আমাদের ব্যবহার করে-সেখানে বসে সব ধরনের অপকর্মের চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা গুটি কয়েক তাতে সাঁয় দিইনি। যে কারণে আমি আজ ভুক্তভোগী। আমার মতো একজন শিল্পীকে বাতিলের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার মেম্বারশিপ। এত বছর কাজ করার পর বুঝতে পারছি একজন শিল্পীর জন্য এমন আচরণ কতটা অপমানজনক। ১৬৪ জন শিল্পীও এই কষ্ট বুঝবেন।”
পপি বলেন, ‘এসব কারণে আমি চলচ্চিত্র থেকে সরে এসেছি। আমার কাছে এখনো বাতিলের চিঠি আছে। যখনই আমি চিঠি পেয়েছি, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার আসলে যা করা দরকার তা হল কীভাবে এটি সঠিকভাবে করা যায় তা শিখতে হবে। ভেবেছিলাম, পরিবেশ ভালো থাকলে চলচ্চিত্রে ফিরব। ”
ভিডিওর শেষে হাত জোর করে পপি চলচ্চিত্র শিল্পীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা যে ভুলটা করেছি, দয়া করে আপনারা সেই ভুলটা করবেন না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দয় প্রথমবারের মতো পা রেখেই সবার নজরে আসেন পপি। আর এরপর থেকেই বড় পর্দায় এক নাগারে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘কারাগার’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘কি যাদু করিলা’, ইত্যাদি।