২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাণ সেনাবাহিনীর (Army) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (Major Sinha Mohammad Rashed Khan)। যা নিয়ে গত দুই বছরেরও বেশ সময় ধরে সারদেশজুড়ে চলছে ব্যাপক শোরগোল। তবে সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের (police) বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর ঐ মামলার আলোকে ওসি প্রদীপসহ (OC Pradeep) ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মুহুর্তে কারগারেই রয়েছেন তারা। তবে তাদের কি ধরনের সাজা হয় তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে জনমনে।
বিশেষ করে ভুক্তভোগী ও নিহতদের পরিবার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আলোচিত ওই মামলার রায় দেওয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল সেদিন এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
আদালতের কাছে নির্যাতিত শত শত পরিবারের একটাই দাবি টেকনাফ (Teknaf) থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও তার সহযোগীদের ফাঁসি। এ জন্য গত কয়েকদিন ধরে রোজা রাখার পাশাপাশি টেকনাফের হতাহতদের শত শত পরিবার তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছেন।
সূত্র জানায়, প্রদীপ কুমার দাস টেকনাফ (Pradeep Kumar Das) ওসি থাকাকালে ২২ মাসে মাদক নির্মূলের নামে ১৪৪টি বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এতে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের সবাইকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাজ দেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ বলছেন, ক্রসফায়ারে নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ মানুষ।
টেকনাফের হিল্লা ইউনিয়নের সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে একই পরিবারের তিন ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রদীপ।
পরিবারের এক সদস্য মো. আলম (Md. Alam) বলেন, ‘খুনের শিকার’ তিন ভাইয়ের বউ এবং এতিম ছেলেমেয়েরা প্রত্যাশা করছেন ওসি প্রদীপ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়া হোক। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে রোজা রেখে আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছেন তারা।
সিনহা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মমলার আলোকে গ্রেপ্তারের পরপরই ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে একে একে উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর সেই আলোকে জানা যায়, গায়ে পুলিশের পোশাক থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে নানা অনিয়ম করে আসছিলেন তিনি।