প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তবে তার রয়েছে একটি বড় ইতিহাস। বিশেষ করে দেশের সব থেকে বড় নেতার মেয়ে হওয়ার কারনে তাকে হারাতে হয়েছে অনেক কিছু। শিকার করতে হয়েছে অনেক ত্যাগ।বাবা-মা পরিবার পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব রিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন অন্যদের সন্তান স্কুলে আনা নেওয়ার কাজও। দেশের বাইরে সেই কাজে যে মজুরি পেতেন তাতেই মিটতো জীবনের প্রয়োজন।

আরো পড়ুন

Error: No articles to display

চ্যানেল আই’র ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রের জন্য বিশেষ নিবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সেই নিবন্ধে তিনি লিখেছেন: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘা’/ত’/ক’/দে’/র নি’/র্ম’/ম বু’/লে’/টে আমার আব্বা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নি’/র্ম’/ম’/ভা’/বে’/ নি’/হ’/ত হন। সেই সাথে আমার মা, তিন ভাইসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হ’/ত্যা করা হয়।

আমি ও আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে ছিলাম। সব হারিয়ে রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে রিফিউজি হিসেবে যখন পরাশ্রয়ে জীবনযাপন করি, তখনও পত্রিকা যোগাড় করেছি এবং নিয়মিত পত্রিকা পড়েছি।

সেই সময়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা নেওয়ার কাজের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ১৯৮০ সালে দিল্লী থেকে লন্ডন গিয়েছিলাম। রেহানার সাথে ছিলাম বেশ কিছুদিন। তখন যে পাড়ায় আমরা থাকতাম, ঐ পাড়ার ৮-১০জন ছেলেমেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতাম। ছুটি হলে সকলকে নিয়ে আবার ঘরে পৌঁছে দিতাম। বাচ্চা প্রতি এক পাউণ্ড করে মজুরি পেতাম।

ওই অর্থেই নিজেদের প্রয়োজনগুলো মেটাতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন: ঐ টাকা থেকে সর্বপ্রথম যে খরচটা আমি প্রতিদিন করতাম, তা হলো কর্নারশপ থেকে একটা পত্রিকা কেনা। বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ঘরে ফেরার সময় পত্রিকা, রুটি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাসায় ফিরতাম। তখন একটা পত্রিকা হাতে না নিলে মনে হত সমস্ত দিনটাই যেন ’পানসে’ হয়ে গেছে।

টানা তিন বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ টানা তিন বার সরকার গঠন করলো। একটা সময়ে এই দলটির অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসার পর থেকেই দলটির হতে থাকে আমুল পরিবর্তন।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display