রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বহুল আলোচিত বালিশকাণ্ডসহ নানা দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মূলত প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে বের হতেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশ কাণ্ডের মূল হোতো নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমানকে চোর চোর বলে ধাওয়া দিয়েছে জনগণ।ধাওয়া খেয়ে শিল্পকলার পশ্চিম পাশ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
বালিশকাণ্ডসহ নানা দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

আরো পড়ুন

Error: No articles to display

নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান সকাল ১১টায় দুদকে প্রবেশ করে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বের হন। এসময় কয়েকজন সাধারণ জনতা এবং সাংবাদিকরা বালিশের দাম নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে মাসুদুর রহমান কোনো উত্তর না দিয়ে একরকম পালিয়ে যান।
এদিকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, প্রথম পর্যায়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে আরও যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হক।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আজ থেকে আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত আলাদা আলাদা দিনে এই প্রকৌশলীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে দুদকে।
গেল রোববার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. হাসিনুর রহমানসহ মোট ৩৩ জন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display