আরো পড়ুন

Error: No articles to display

বাতিল হ্যান্ডসেটের বিনিময়ে টাকা দিতে চান মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা।

ই-বর্জ্য সংগ্রহে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা ।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) এমন উদ্যোগের কথা জানায়।

টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে \’ই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট: এ হিউজ চ্যালেঞ্জ ফর বাংলাদেশ\’ বিষয়ক ওই গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থাপনা দেন বিএমপিআইয়ের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মাদ মেজবাহ উদ্দিন।

ই-বর্জ্যের বিপরীতে এই ইনসেনটিভ দেয়ার প্রসঙ্গে বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ই-বর্জ্য সংগ্রহে বিজনেস প্লান তৈরি করতে বলেন।

তিনি বলছেন, বিজনেস প্লান থাকলে এই বর্জ্য সংগ্রহের একটি সাইকেল তৈরি হবে এবং তা নিজে নিজে সক্রিয় থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, ভাঙ্গারি দোকানদার যদি বোঝে ১০০ টাকায় একটি বর্জ্য কোনো কারখানায় বিক্রি করতে পারবে তাহলে সেটি ৫০ টাকায় সংগ্রহে তার কোনো ইনসেনটিভ লাগবে না। এতে মানুষও ওই বাতিল পণ্য ফেরতে আগ্রহী হবে।

তিনি রিসাইক্লিন উদ্যোক্তাদের পণ্য কেনা ও দামের তালিকা তৈরি করতে বলেন। যেখানে যিনি বাতিল পণ্য দেবেন তার হতে শুরু করে টোকাই বা সংগ্রহকারী হয়ে কারখানা পর্যন্ত সবার একটি মার্জিন থাকে।

বিএমপিআইএর উপস্থাপনায় বলা হয়, দেশের প্রতিটি শপিং মলে ই-বর্জ্য ড্রপিং পয়েন্ট রাখা যেতে পারে। যেখানে মানুষ তাদের নষ্ট বা বাতিল মোবাইল ফেলে যাবে। আর এর বিনিময়ে একটি ইনসেনটিভ পাবে তারা।

বিএমপিআই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি গাইডলাইন তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে মোহাম্মাদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ব্যবহারকারী, সংগ্রহকারী এবং রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি যেকোনো পর্যায়েই ইনসেনটিভ বা সাবসিডির দরকার। ই-বর্জ্য সংগ্রহের অন্যতম বিষয় এটি ।

বৈঠকে বিএমপিআইএ এর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানান, শিগগিরই ঢাকার বড় পাঁচটি শপিং মলে ই-বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রম তারা চালু করতে যাচ্ছেন। আর এতে মানুষ যেন তাদের নষ্ট বা বাতিল মোবাইল জমা দিয়ে যান তার জন্য তাদের আকর্ষণীয় অংকের টাকা ইনসেনটিভ হিসেবে দেয়া হবে।

বিএমপিআই সভাপতি বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আসল জায়গা হচ্ছে কনজিউমারের জায়গা। ই-বর্জ্য জমা দিতে তাদের আগ্রহী করতে বিটিআরসির এসওএফ বা সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে সহযোগিতা আশা করেন তিনি।

তাদের এই উদ্যোগ অচিরেই সারা দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশের সব শপিং মলে ই-বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করা যায়। কোম্পানিগুলোর খুচরা বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হলে তারা এখানে সক্রিয় থাকবে। এরপর এসব জায়গায় হতে একটি পদ্ধতিতে এসব বর্জ্য কারখানায় চলে যাবে।

\’ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোক্তারা এসব যদি ভাল দামে কিনে যান তাহলে মানুষও তা দিয়ে দেয়ার জন্য আগ্রহী হবেন।তাহলে এই কার্যক্রম সফল হবে\’ বলে ন রুহুল আলম আল মাহবুব।

এসময় রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, রবির প্রায় ৮০ টির মতো ই-বর্জ্য সংগ্রহের মেশিন রয়েছে। টেলিটকের আছে আরও ৮০টি। এই ১৮০ টি মেশিন নিয়ে সারা বাংলাদেশে সচেতনতার ব্যাপক কার্যক্রম নেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুলতান আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটর ও হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের প্রতিনিধি এবং খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display