নির্বাচন
Hits: 1067
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নিয়ে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু যেসব অভিযোগ করেছেন তা সুনির্দিষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী। তিনি জানান, বিএনপির অভিযোগের পর খোঁজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
বেলা ১২টার দিকে খুলনার একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইউনুচ। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে এই কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হলেও বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী।
এর মধ্যে তিনি যে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেই ২৪ নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর সেখানে ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে ২২ নং ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি বুথে জাল ভোট দেয়ার ঘটনার পর সেখানেও ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়।
আবার নগরীর শেরেবাংলা রোডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে বিএনপির ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বন্ধ করে দেয়া সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইউনুচ আলী বলেন, ’সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। তবে দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু খবর পেয়েছি আমরা। সেগুলোতে ভোট বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে এই কেন্দ্রে আমরা সমস্যা পেয়েছি, সে কারণে এখানে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।’
এই কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছিলেন এবং এরপর ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা একটি বুথে ঢুকে নৌকা মার্কায় সিল মারে বলে অভিযোগ ছিল।
যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ’আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে কারা দায়িত্বে ছিল, সেটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
ভোট নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে ইউনুচ বলেন, ’আমরা অনেক অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু সেগুলোর অনুকূলে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’
সকালে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় খুলনায়। শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের সারি থাকলেও সকাল থেকেই ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ জানায় বিএনপি।
সকাল পৌনে নয়টায় রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু প্রথমে ২৫টি এবং পরে ৩০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া এবং মারধরের অভিযোগ আনেন। তার দাবি, ভোটারদেরকেও ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে।
বেশ কিছু ওয়ার্ডের নাম উল্লেখ করে সেখানে তার এজেন্টদেরকে ফিরিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশন যেন উদ্যোগ নেয়, সে দাবিও জানান মঞ্জু।
তবে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মোট ৪০টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে।
মঞ্জু যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন, তার মধ্যে একাধিক কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, বিএনপির কোনো এজেন্ট সেখানে যাননি।
সূত্র:ঢাকাটাইমস